পশ্চিমবঙ্গের ওয়াকফ সম্পত্তি, বেদখল, জবরদখল, প্রোমোটারিরাজ

~মোহাম্মদ সাদউদ্দিন

ওয়াকফ সম্পত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত ইডেন গার্ডেন

২০০৬ সালে সাচার কমিটি রিপোর্ট যখন প্রকাশিত হয় তখন তাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ ছিল। তা হল- বেদখল, জবরদখল হওয়া ওয়াকফ সম্পত্তিগুলি দখলমুক্ত করে সেগুলি মুসলিম সমাজের শিক্ষা বিস্তার ও সামাজিক কাজে লাগাতে হবে। ভারতের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের পর সবচেয়ে বেশি ওয়াকফ সম্পত্তি পশ্চিমবঙ্গে। দীর্ঘ সুলতানি শাসন, নবাবী শাসন ও তুর্কি শাসনের ফলে বাংলার মাটিতে বিশেষ করে খণ্ডিত পশ্চিমবাংলায় ওয়াকফ সম্পত্তির পরিমাণ বেশি। ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত ওয়াকফ সম্পত্তি সব মিলিয়ে পশ্চিমবাংলার মাটিতে লক্ষাধিক ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে। এই সম্পত্তির সংখ্যা কত, তার তথ্য পশ্চিমবঙ্গ ওয়াকফ বোর্ডের কাছে সঠিক ভাবে নেই। আবার দেশভাগ ও বাংলাভাগ জনিত কারণে অনেক ওয়াকফ সম্পত্তি পূর্ববঙ্গ থেকে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থান অধুনা বাংলাদেশ) আগত উদ্বাস্তু কলোনিতে পরিণত হয়ে গেছে, কোথাও মার্কেট কমপ্লেক্স, কোথাও শপিংমল আবার কোথাও হাউজিং বা আবাসন তৈরি করা হয়ে গেছে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পঞ্চাশের দশক থেকে ষাটের দশক পর্যন্ত পরিকল্পিত ভাবে দাঙ্গার পর দাঙ্গা লাগানোর ঘটনায় বাঙালি মুসলিমদের মনে আতঙ্ক তৈরি হয়ে গেল। তার ফলে কলকাতা সহ আশ-পাশ এলাকার শহর ও শহরতলি এলাকার বাঙালি মুসলিমরা তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান বা অধুনা বাংলাদেশ পালিয়ে যায়। তাই হুগলীর চুঁচুড়া, হুগলী-ঘাট স্টেশন বা হুগলী স্টেশনের আশেপাশে অবস্থিত দানবীর ও জনগণের সেবক ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব হাজী মহাম্মদ মহাসীনের দান করা ওয়াকফ সম্পত্তির কি কোনও হিসাব রয়েছে?

কলকাতায় ব্রিটিশরা টিপুসুলতানের পরিবারকে নির্বাসিত করেছিল টালিগঞ্জে। সেই টালিগঞ্জের প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের সংলগ্ন সতীশচন্দ্র রায় রোডের ওয়াকফ সম্পত্তি আজ কিন্তু মার্কেট কমপ্লেস। কেন তা মুসলিমদের কল্যাণের কাজে লাগল না? প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডেই অবস্থিত দাতাবাবার মাজার। দাতাবাবা মাজার লাগোয়া আরপি কলোনির সম্পত্তি কাদের সম্পত্তি? টালিগঞ্জে গলফ-ক্লাব জবর-দখল মুক্ত হয়েছে। তার ভাড়াও বেড়েছে। কিন্তু সেই গলফ ক্লাবকে মুসলিমদের শিক্ষা বিস্তারে বা সামাজিক কাজ-কর্মে লাগানো হলনা কেন? কলকাতার (দক্ষিন) যাদবপুরের মতো জায়গার সুলেখা মার্কেট, গড়কা, পূর্বাচল কিংবা সন্তোষপুরে ব্যাপক সংখ্যক ওয়াকফ সম্পত্তি বেদখল।

১৯৬৪ সালের দাঙ্গার পর এখানকার বাঙালি মুসলিমরা আতঙ্কে অনেকেই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান বা অন্যত্র পালিয়ে যায়। মধ্য-পূর্ব কলকাতার অন্যতম কেন্দ্রস্থল বেলেঘাটা। এই বেলেঘাটার ৬ নম্বর বেলেঘাটা মেন রোডে থাকতেন কলকাতার বিখ্যাত মুসলিম জমিদার মুন্সী লতাফৎ হোসেন। এই মুন্সী লতাফৎ হোসেনের নামে একটি রাস্তাও এই এলাকায় রয়েছে এখনও যা তার নামটিকে বাঁচিয়ে রেখেছে আজও। এই লতাফৎ হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় ২৪ পরগনা জেলার (এখন উত্তর ২৪ পরগানা) দেগঙ্গা থানার ভাসিলিয়া গ্রামের আরেক বিখ্যাত জমিদার মুন্সী এজবাতুল্লা-র মেয়ে সাওলাতুন্নেসার। এই সাওলাতুন্নেসা হচ্ছেন প্রখ্যাত ভাষাতত্ত্ববিদ জ্ঞান-তাপস রবিন্দ্র স্নেহধন্য মহম্মদ শহিদুল্লাহ-র দিদিমার (নানি) দিদি (বড় বোন)। বেলেঘাটার মুন্সী পরিবারের অবিভক্ত বঙ্গেই ১০-১২ টি জেলার জমিদারি ছিল। সাওলাতুন্নেসাই প্রথম মহিলা যিনি কলকাতায় প্রথম অনাথ আশ্রম, এতিমখানা, ছাত্রিনিবাস স্থাপন পথ প্রদর্শিকা। বেলেঘাটার জমিদার ‘মুন্সী পরিবারের’ সঙ্গে ঢাকার নবাব সলিমুল্লাহ পরিবারের বৈবাহিক সম্পর্ক ও আত্মীয়তা ছিল।

আজকে বেলেঘাটার মুন্সী পরিবারের ৬ নম্বর বেলেঘাটা মেন রোডের মসজিদ সংলগ্ন বিশাল ওয়াকফ সম্পত্তি কিন্তু আজ বেদখল ও জবরদখল। কোনও না কোনও শাসকদলের সহযোগিতার জন্য বিভিন্ন সময় এই ঘটনাগুলি  ঘটেছে। বেলেঘাটা এলাকায় এই মুন্সী পরিবারের অনেক সম্পত্তি  দখল দারিতে চলে গেছে। যার কোনও  হিসাব নেই। সেই সব দখল দারির ইতিহাসও মৃতপ্রায়। সেগুলি উদ্ধার করা খুব কঠিন।। দেশভাগ বা বাংলা ভাগ হবার ফলে দুই বাংলার মানুষের স্থানান্তর প্রক্রিয়া (মাইগ্রেটিং) হয়েছে। এর ফলে যেখানে পেরেছে দখল করেছে। দুই পারেই সেটি হয়েছে। এটাই হচ্ছে দেশভাগের পর দুইপারের  সংখ্যালঘুদের পরিনতি। এটাই হচ্ছে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের কাছে দুর্ভাগ্য ও অভিশাপ। বেলেঘাটার আনাচে-কানাচে কত ওয়াকফ সম্পত্তি বেদখল ও জবর দখল চলে গিয়েছে তার কোনও ইতিহাসও নেই, আবার হিসাবও নেই।

উত্তর কলকাতার মানিকতলা। মহানগরীর আরও একটি ব্যস্ততম প্রাণকেন্দ্র। মানিকতলার কাছেই মুন্সীবাজার। এখানেই অবস্থিত মরমী কবি ও সুফি সাধক ‘ফাতেহ আলি ওয়েসি’-র মাজার। এই মাজারের দানকরা বিশাল সংখ্যক ওয়াকফ সম্পত্তি আজও জবরদখলে পরিণত। রাজনৈতিক মদতেই কিন্তু বিভিন্ন সময়ে এগুলি হয়েছে। আজও তা উদ্ধার করা যায়নি। এই ওয়াকফ সম্পত্তির পরিমাণ কেউ বলেন ২০ একর, কেউ বলেন ২৫ একর। পরিমাণটা নিয়ে বিতর্ক আছে সত্য, তবে ‘বেদখল’ এটা বলা যায়। জবর দখল বললে অত্যুক্তি হবেনা। এইসব ওয়াকফ সম্পত্তিগুলি মুসলিম সমাজের শিক্ষা-বিস্তার, সামাজিক কাজকর্ম, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বৃত্তিমূলক শিক্ষাকেন্দ্র তো করা যেত। সেরকম সদিচ্ছা নেই কেন? অথচ দুর্ভাগ্যের বিষয় ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে প্রোমোটারি রাজ কায়েম করা হয়েছে। এর জন্য দায়ী কিন্তু এক শ্রেণীর বেইমান ও অর্থলোলুপ মুসলমান। শুধুমাত্র রাজনৈতিক দল ও অমুসলিমদের দোষ হবে কেন?

রাজভবন, কলকাতা

কলকাতা শহরে অবিভক্ত বঙ্গের রাজভবন (গভর্নর হাউস), মোহামেডান, ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ক্লাবের জায়গা কার? আকাশবাণী ভবন (কলকাতা), ফোর্ট উইলিয়ামস (ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তর), ময়দান ও সংলগ্ন এলাকা, ইডেন গার্ডেনস কার সম্পত্তি? সবই ওয়াকফ সম্পত্তি। মোট জমির পরিমাণ ২৫৫৫ বিঘা। ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত সরকার মাত্র ১৯৯ টাকা ভাড়া দিত। তারপর মোতায়াল্লি (তদারক কারী) মওলানা আবুল বরকত সাহেব ৯৯ বছর বয়সে মারা গেলে তার উত্তরাধিকারীকে এক টাকাও দেয়না রাজ্য সরকার। বাংলা বিহার-ওড়িশার নবাব আলীবর্দি খাঁ টাড় আমলে এই ২৫৫৫ বিঘা জমি দান করে যান। মোতায়াল্লি মওলানা মসীহউদ্দিনকে। তারপরের ইতিহাস অত্যন্ত করুণ।

সাচার কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী সমগ্র ভারতে ৬ লক্ষ একর ওয়াকফ জমি রয়েছে। ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা ও রেল মন্ত্রকের পর সবচেয়ে বেশি জমি রয়েছে ওয়াকফ বোর্ডের অধীনে। ওই জমি থেকে বছরে ১২ হাজার কোটি টাকা আয় হতে পারে যা মুসলিম সমাজের নানান উন্নয়ণ মূলক কাজে লাগানো যায়।

কিন্তু সেই ধরনের কোনও উদ্যোগ ভারত সরকার বা রাজ্য সরকার গুলির দেখা যায়নি। কেবলমাত্র ভোটের সময় মুসলিম এলাকাগুলিতে এসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি তাদের মুসলিম নেতাদের দিয়ে মায়া কান্না করিয়ে নিয়েছে। তারপর ভোট ফুরানোর পর আর কাউকে দেখা যায়নি বা যায়না।

সাচার কমিটির অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ২০০ টি। যার মাত্র ২৩ হাজারের মতো সম্পত্তি রয়েছে ওয়াকফ বোর্ডের আওতায়। প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার সম্পত্তির কোন হদিস নেই। দক্ষিন ২৪ পরগনার ভাঙ্গড়ের (কাশীপুর থানা) মাছিভাঙা এলাকায় ১.২৫ একর জমি ওয়াকফ সম্পত্তি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভূমি-তথ্য দপ্তরের নথিটোনা গ্রামের মৌজায় এই সম্পত্তির প্রমান পাওয়া যায়। জানার পরও এই জমি অধিগ্রহন কেন করা হল না? পশ্চিমবঙ্গ ওয়াকফ দপ্তর কি ঘুমিয়ে?

[দ্রষ্টব্যঃ www.twocirceles.net/2012may03, একটি নতুন আন্দোলন প্রয়োজন, আইএমবিডি ব্লগ, ১১ আগস্ট ২০১৪]।

হাজারদুয়ারী, মুর্শিদাবাদ

অবিভক্ত বঙ্গের মুর্শিদাবাদ ছিল বাংলা বিহার ওড়িশার রাজধানী। বাংলায় দীর্ঘদিন নবাবী শাসন ছিল। তার আগে গৌড়বঙ্গ থেকে বাংলার সুলতানি শাসন চলত। ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধে দেশীয় সামন্ত প্রভু, বনিক ও নিজের আত্মীয়দের বিশ্বাসঘাতকতায় বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার পরাজয় হয়েছিল। মুর্শিদাবাদ থেকে সদর নিজামত চলে আসে কলকাতায়। আজও কলকাতার অন্যতম জাঁকজমকপূর্ণ এলাকা পার্কস্ট্রিটে ভগ্ন-দশা ওয়ালা ‘মুর্শিদাবাদ হাউস’ অনেক কিছুর প্রমান দেয় (অবস্থান- সেন্ট জেভিয়ারস কলেজের বিপরিতে, রফি আহমেদ কিদরাই রোড ও পার্কস্ট্রিটের সংযোগ স্থলে)। আবার এক সময় ঢাকা ও মোগল আমলে বাংলার রাজধানী ছিল। সে সময় ঢাকার রাজধানীর নাম ছিল জাহাঙ্গীর নগর। এখন তা স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের রাজধানী। খণ্ডিত পশ্চিমবঙ্গে মালদা-মুর্শিদাবাদ-কলকাতা-বর্ধমান-উত্তর ও দক্ষিন ২৪ পরগনা, উত্তর ও দক্ষিন দিনাজপুর এবং কোচবিহারে ব্যাপক সংখ্যক ওয়াকফ সম্পত্তি জবরদখল ও বেদখল হয়ে গেছে। ২০০১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত বামফ্রন্ট সরকারের সময় তৎকালীন সংখ্যালঘু মন্ত্রী মহম্মদ সেলিম ঘোষণা করেছিলেন ‘ওয়াকফ ইজ ওয়াকফ; তাকে বেদখল হতে দেবনা’ তিনিও উদ্ধার করতে পারেননি

তারপরের সংখ্যালঘু মন্ত্রি আব্দুল সাত্তার কিছু এব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছিলেন ঠিকই। তিনিও কিন্তু ওয়াকফ সম্পত্তির হাল হকিকত স্বাভাবিক করতে পারেননি। আজও ঠিক সেই অবস্থা। ভারতের বা পশ্চিমবঙ্গের ওয়াকফ সম্পত্তিগুলি ঠিক ঠাক কাজে লাগালে এখানকার মুসলিমরা তাদের নিজের সম্পত্তিতেই রাজা হতে পারত। এর জন্য মুসলিম সমাজের একাংশ কম দায়ী নয়। শুধু রাজনৈতিক দল কিংবা হিন্দু অথবা অমুসলিমদের দোষ দিয়ে কি লাভ? পশ্চিমবঙ্গে বেহিসাবি ও সীমাহীন ভাবে ওয়াকফ সম্পত্তি আজ বেদখল ও জবরদখল হয়ে রয়েছে ২৩ টি জেলার মধ্যেই। তার দায় মুসলিম সমাজের অর্থ-লোভীরাই। এই দায় তারা কিন্তু এড়াতে পারেনা। তারপরও সরকারি উদাসিনতা ও উপেক্ষা তো রয়েছেই।

আমি নিজেও ব্যক্তিগত ভাবে সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছি খোদ কলকাতা শহরে অনেক রাজনৈতিক দলের অফিসও রয়েছে ওয়াকাফ-এর জায়গায়। তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলগুলি বড় বড় কথা বলে। আমি কলকাতার নাম করা শপিং মলের কথা জানি যেগুলি ওয়াকফ সম্পত্তির উপর গড়ে উঠেছে। ক্ষমতাধর রাজনৈতিক দলের প্রভাব খাটিয়ে মোতায়াল্লিকে পয়সার লোভ দিয়ে তাদেরই মদতপুষ্ট প্রোমোটাররা দখল করেছে। যখন যে সময় যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থেকেছে তারাই করেছে। মুসলিম সমাজের একাংশ আর্থিক লোভ গিলেছে এবং রাজনৈতিক দলের শিকার হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ওয়াকফ বোর্ড কিংবা জাতীয় ওয়াকফ বোর্ডের ঠুঁটো জগন্নাথ করে রাখা হয়েছে এই সংস্থাগুলি তাদের স্বশাসিত ক্ষমতা (অটোনমাস পাওয়ার) প্রয়োগ করতে পারেনি। নামেই স্বশাসিত থেকে গেছে। উদার মুসলিমদের দান করে যাওয়া ওয়াকফ সম্পত্তি অর্থলোভী ও সুবিধাবাদী মুসলিমদের নিয়ে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের মদতপুষ্ট প্রোমোটার গোষ্ঠী দখল করেছে। আর মুসলিমরা যে তিমিরে ছিল দারিদ্রের সেই তিমিরেই রয়ে গেলেন। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এটাই হল নির্মম সত্য।

 

লেখকঃ মুহাম্মদ সাদউদ্দিন, দৈনিক কালান্তর পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক এবং বিশেষ প্রবন্ধকার। উনার নামে আছে কয়েকটি বইও। লেখকের সাথে যোগাযোগ করুন ফেসবুকে

Back To Top