লকডাউনের চতুর্থ দফায় যেসব বিষয়ে ছাড়ের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা

সাইফুল্লা লস্কর : রবিবারই লকডাউনের চতুর্থ দফা ঘোষণার সঙ্গে সঙগে একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কোন ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে, কী কী এখনও বন্ধ রাখতে হবে, সবই বিস্তারিত জানানো হয়। তবে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের দেওয়া সমস্ত নির্দেশিকার সঙ্গে সহমত হননি যার আভাস মেলে লকডাউনের চতুর্থ পর্বে রাজ্য সরকারের প্রদত্ত নিয়মাবলী থেকে।

এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, কেন্দ্রের নির্দেশ মতো ৩১ মে পর্যন্ত এ রাজ্যেও চলবে লকডাউন। তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, কেন্দ্র নির্দেশিকা জারি করলেও বাংলায় সরকারিভাবে নাইট কারফিউ ঘোষণা করা হবে না। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হোক এটা তার সরকার কখোনোই চায়না। তবে হ্যাঁ, বেআইনি জমায়েত যেন না হয়, সেদিকে নজর রাখা হবে।
চলুন দেখে নেওয়া যাক চতুর্থ দফার লকডাউনের ছাড়পত্রের বিষয় বস্তু :

‌(১) ২৭ মে থেকে জোড়-বিজোড় নীতিতে হকার্স মার্কেট খুলবে। জোড়-বিজোড় নীতিতে খোলা হবে দোকান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মতায়েন থাকবে পুলিশ কর্মী।

‌ (২) ৫০ শতাংশ কর্মীদের নিয়ে বেসরকারি সংস্থা গুলি একদিন অন্তর খুলতে পারবে তাদের অফিস।

‌ (৩) রাজ্যের বুথ ও ওয়ার্ডভিত্তিক তিনটি জোনে ভাগ করা হয় যথা, (এ) রেড় জোন (বি)গিন জোন, ও (সি) অরেঞ্জ জোন। নির্দেশ দেওয়া হয় ২৭ মে থেকে বি ও সি জোনে সবোর্চ্চ ২ জন আরোহী নিয়ে চলতে পারবে যাত্রীবাহী অটো।

‌ (৪) ২১ মে থেকে রেড জোন ছাড়া সব জায়গায় বড় দোকান খুলবে।

‌(৫)শবদাহ করা সহ অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানে ১৫ জন হাজির থাকতে পারবেন।

‌ (৬)সামাজিক দূরত্ব মেনে খোলা যাবে সেলুন, বিউটি পার্লার ও অন্যান্য প্রয়ওজনীয় সামগ্রীর দোকান। তবে ছুরি-কাঁচি ,বসার জায়গা স্যানিটাইজড করা বাধ্যতামূলক। এ বিষয়ে তদারকির জন্য বিশেষ সরকারি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

‌(৭)এই দফার লকডাউনে আশার আলো দেখল হোটেল মালিকরা। তবে রেস্তরাঁ খোলার অনুমতি দেওয়া হয়নি এই নিদেশিকায়।

‌(৮)এ ছাড়াও মলগুলির অফিস খোলায় নিষেধাজ্ঞা না দিলেও শপিং মল খুলতে পারবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Back To Top