স্বাধীনতা পরবর্তীতে দেশের মুসলিম শিক্ষা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ কর্নাটকের ব্যাঙ্গালোরের আল আমীন এডুকেশন সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ডা. মুমতাজ আহমেদ খান পরলোক গমন করলেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। মৃত্যুকালে রেখে গেলেন স্ত্রীসহ একাধিক সন্তানসন্ততীকে। আজ শুক্রবার ব্যাঙ্গালোরের আল আমীন রেসিডেন্সিয়াল স্কুল প্রাঙ্গণে তাঁর জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। ডা. মুমতাজ আহমেদ খান ১৯৬৬ সালে আল আমীন এডুকেশনাল ট্রাস্ট গঠন করেন। কর্নাটক ও অন্যান্য রাজ্য মিলিয়ে এই গোষ্ঠীর পরিচালনায় প্রায় ২০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কলেজ অফ ফার্মেসি, ল’ কলেজ, ডিগ্রি কলেজও।
ডা. মুমতাজ আহমেদের জন্ম ১৯৩৫ সালে তামিলনাডুর ত্রিচি শহরে। ১৯৬৩ সালে তিনি মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। এরপর স্টেনলে মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমএস করে। তারপর তিনি ১৯৬৫ সালে ব্যাঙ্গালোরে চলে আসেন। তার বয়স যখন মাত্র ৩১ বছর, ১৯৬৬ সালে তিনি আল আমীন এডুকেশন সোসাইটির মাধ্যমে মুসলিমদের মধ্যে শিক্ষার বিস্তারে আমীন শিক্ষা আন্দোলন শুরু করেন যা অচিরেই আল আমীন মুভমেন্ট বলে পরিচিত হয়ে ওঠে। ডা. মুমতাজ আহমেদ খান ১৯৬৪ সাল থেকে উর্দু দৈনিক ‘সালার’-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি। এছাড়া তিনি আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ও কোষাধ্যক্ষ পদেও অধিষ্ঠিত ছিলেন।
ডা. মুমতাজ আহমেদ খান শিক্ষা বিস্তারে অবদানের জন্য বিভিন্ন রাজ্য থেকে নানা পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৯০ সালে কর্নাটক রাজৌাৎসব পুরস্কার পান, এছাড়া. কেমপেগৌড়া অ্যাওয়ার্ড, জুনিয়র জয়িস অ্যাওয়ার্ড, পাবলিক রিলেশন সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া অ্যাওয়ার্ড পান। তবে, তার অবদানের স্বীকৃতিতে বিভিন্ন রাজ্যে মুসলিম সমাজে অবদানের জন্য চালু হয় ‘ডা. মুমতাজ আহমেদ খান অ্যাওয়ার্ড।তাঁর মৃত্যুতে দেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।