বর্ধমানে ঋণের দায়ে আত্মহত্যা কৃষকের

ঘটনা বর্ধমানের ভাতার থানার। মহাজনের হুমকিতে ভীত ভাতার থানার শিকড়তোড় গ্রামের ভাগচাষী হরিচরণ মালিক (৪০) বিষ পান করে আত্মঘাতী হন। ঋণের বোঝা ও ফসলের দাম না পেয়ে এরাজ্যে ১৯৬ জন কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন। এই কৃষকের আত্মহত্যার কথা স্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান আমজাদ শেখ। তিনি বলেন, ঋণের দায়েই আত্মঘাতী হয়েছেন হরিচরণ।


কৃষকদের আত্মহত্যার কোন ঘটনাই স্বীকার করেনি প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় অনেকবারই বলেছেন এরাজ্যে কোনও কৃষক আত্মঘাতী হয়নি। তবে দল ও মুখ্যমন্ত্রীকে অস্বস্তিতে ফেলে গ্রামের তৃণমূল নেতারাই পঞ্চায়েত প্রধানের মতোই তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সেন্টু শেখ জানিয়েছেন, মহাজনের কাছ থেকে নেওয়া ঋণ শোধ করতে পারেননি হরিচরণ। তাকে মহাজন ধার শোধ করার জন্য লেঠেল নিয়ে বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়েছিল। তারপরেই আত্মহত্যা করেন তিনি।


ঐ ভাগচাষির দাদা লালু মালিক ও ছেলে জানান, ২০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন হরিচরণ। কয়েকদিন আগে মহাজন গুণ্ডা দিয়ে শাসিয়ে যায়। আজ বুধবার বিকেলে বড়গোনা বাজারে ঐ মহাজন কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ফের হুমকি দেয় হরিচরণকে। এক সপ্তাহের মধ্যে টাকা ফেরত না দিলে গ্রাম থেকে উচ্ছেদেরও হুমকি দেয় তারা বলে অভিযোগ। এরপর সেদিন রাতেই বাড়ি ফিরে বিষ খায় সে। তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হয় তাকে। বৃহস্পতিবার ভোরে মারা যায় হরিচরণ।


সূত্রঃ সান্ধ্য সত্যযুগ

Back To Top