সি পি আই প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশে সাম্প্রদায়িক বিজেপি আর এস এস কে হটানোর ডাক

 দিনকাল ডেস্কঃ সাম্প্রদায়িক বিজেপি আর এস এস কে হঠাতে দেশে ধর্ম নিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক শক্তি গুলিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিল সিপি আই । বুধবার সিপি আই-এর ৯৪ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে কলকাতার ধর্মতলা এলাকায় রানী রাসমণি রোডের বিশাল সমাবেশে সিপি আই কার্যত বিজেপিকে তুলোধোনা করে। এদিনের সমাবেশের মূল সুর ছিল ‘মোদী হটাও, দেশ বাঁচাও’। মোদী হটাও, দেশ বাঁচাও কে প্রধান ইস্যু করে সিপি আই-এর নেতৃবৃন্দ এদিন আর এস এস কে কেন্দ্র বিন্দু করেন। নেতৃবৃন্দ এদিন তৃণমূলকে আক্রমণ করলেও প্রধান কেন্দ্র বিন্দু ছিল বিজেপি আর এস এস সহ সংঘ পরিবারের সাম্প্রদায়িকতা ।, বিজেপি সরকারের আর্থিক নীতি , নোট-বন্দী, জি এস টি, ব্যাঙ্ক জালিয়াতি ও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের পদলেহন মানসিকতা। আবার পশ্চিমবঙ্গে তৃনমূলের স্বৈরাচারী মানসিকতা, বিজেপির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সাম্প্রদায়িক  পরিস্থিতি তৈরি করা করার বিরুদ্ধেও নেতৃবৃন্দ সরব হন।

এদিনের সমাবেশে সিপি আই -এর শীর্ষ নেতৃবৃন্দ থাকলেও সমাবেশের প্রধান আকর্ষণ ছিলেন বামপন্থী ছাত্র-নেতা কানহাইয়া কুমার ( এ আই এস এফ) ও বিধায়ক দলিত নেতা তথা ঝাড়খন্ডের বিধায়ক জিগনেস মেওয়ানী। এদিনের সভায় সভাপতিত্ব করেন সিপি আই -এর উপসাধারন সম্পাদক এবং বর্ষীয়ান শ্রমিক আন্দোলনের নেতা প্রাক্তন সাংসদ গুরুদাস দাশগুপ্ত, দলের জাতীয় পরিষদের সদস্য মঞ্জু কুমার মজুমদার, রাজ্য সম্পাদক স্বপন ব্যানার্জি প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ বলেন, মানুষের কাছে ভোট অধিকার নেই বিজেপির। ৫ রাজ্যের নির্বাচন প্রমাণ করে দিয়েছে বিজেপির মৃত্যু ঘন্টা ২০১৯ সালেই বেজে যাবে। কিন্তু ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থেই এঁরা ধর্মীয় সুড়-সুড়ি দিবে , রামমন্দির জাগিয়ে রাখবে, রথযাত্রা করবে, পাকিস্থান-পাকিস্থান দুর্গন্ধ ছড়াবে, আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদের দালালী করেবে। এরা সংবিধানের ধার-ধারেনা। সমস্ত স্তরে এরা হিন্দুত্ববাদীদের ডেকে বসাবে। এদের আমলে দলিত- সংখ্যালঘুরা আজ বিপন্ন।আমাদের সেদিকে সতর্ক ও হুশিয়ার থাকতে হবে।

Back To Top