দর্জি কারিগরের কি অবস্থার পরিবর্তন হবে না

কোলকাতার দর্জি কারিগরদের, পুজার আগে প্রতি বছর যে কর্মব্যস্ততা থাকে, গত বছর হতে তা আর নেই, চলতি বছরে পুজোর কাজ নেই বললেই চলে, প্রতি বছর এই সময় ডবল সিফট কাজ চলে, যে কারনে দর্জি কারিগর দের কিছু টা সুরাহা হয় ,যা তারা সারা বছরের সাংসারিক প্রয়োজনীয় অর্থ যোগাড় করে থাকে, ।সারা বছর যা কাজ হয়, তা দিয়ে কষ্টে সষ্টে দু বেলা দু মুটো ভাতের যোগান হয় ,কিন্তু ছেলে মেয়েদের স্কুলের ভর্তি, বই ,খাতার খরচ ,পরিবারের সদস্যদের কাপড় চোপড়, ঔষধ পত্রের খরচ জোগাড় সম্ভব হয় না, কারন মাত্র 300 হতে 400 শত টাকা রোজ হাজিরায় কোলকাতার নানান সেলাই কারখানায় এই সব দর্জি কারিগর রা কাজ করে, কোন কারনে কাজে না আসতে পারলে রোজ কাটা যায়, বাড়িতে কেউ অসুস্থ হোক বা কেউ মারা যাক ,কোম্পানি কোনও দয়া দেখায় না ,এমন কি কাজ করতে করতে, কোন কারিগর অসুস্থ হয়ে পড়লে কোম্পানি সেই কারিগর কে বাড়ি ফেরত পাঠিয়ে দেয়, এ ক্ষেত্রে ও কোম্পানি কোন দায় নেবে না, এই ভাবে সারা বছর রোজগার করে ,এই পুজোর সময় প্রতি কারিগর চাতকের মতো তাকিয়ে থাকে এইসব কারিগররা, কিন্তু নোটবন্ধীর পর হতে কাজের অবস্থা এমন করুন হয়ে গেছে, যে কারিগরদের দু বেলা দু মুটো ভাতের যোগাড় করতে হিমশিম হতে হচ্ছে ,এই পুজোর সময়, তাই প্রতিটি কারিগরদের কাছে আজ চিন্তা,এই মন্দার বাজারে কি ভাবে সম্ভব ছেলে মেয়েদের স্কুলের খরচ যোগাড় ,এবং তাদের পোশাক যোগাড় করা, বাড়িতে অন্য সদস্যদের, ঐ একই সমস্যা, তাহলে কি এ বছর দর্জির কারিগর দের ছেলে মেয়েদের স্কুলের খরচের অভাবে স্কুল বন্ধ হবে? তাদের কোন পার্বনে একটা ভাল পোশাক পাবে না, যারা সমস্ত মানুষের নতুন পোশাক তৈরি করে, তাদের ছেলে মেয়েদের পোশাক নেই, এই দর্জি কারিগরদের পরিবারের বয়স্ক সদস্যরা ঔষধের অভাবে ধুঁকতে ধুঁকতে মুত্যুর দিকে আগিয়ে যাবে, ?এই প্রশ্ন এখন প্রতিটি দর্জি কারিগরদের চিন্তা বাড়িয়ে চলেছে ।

 সেখ আবুল কালাম, দক্ষিণ ২৪ পরগণা

Back To Top