ত্রিপোলি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দখল করলো তুরস্ক সমর্থিত লিবিয়ার জাতীয় সরকার

সাইফুল্লা লস্কর : লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিল রাষ্ট্রসঙ্ঘ এবং তুরস্কের সমর্থনপুষ্ট লিবিয়ার জাতীয় সরকার।

আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত এই সরকারের নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র মুহাম্মদ গোনৌনও বুধবার বলেছেন, “আমাদের বাহিনী ত্রিপোলি বিমানবন্দর সম্পূর্ণ রূপে অবমুক্ত করেছে।”
উল্লেখ্য ২০১৪ সাল থেকে বন্ধ হয়ে আছে। গত বছর রাজধানী অবরোধের সময় রাশিয়া, মিশর এবং আরব আমিরাতের মদতপুষ্ট খলিফা হাফতার বাহিনী দখল করে বিমানবন্দরটি।
লিবিয়া আপাতত দুই বিবাদমান গোষ্ঠীর ক্ষমতা দখলের লড়াই ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃত লিবিয়ার জাতীয় সরকার (জি এন এ) অন্যটি হলো খলিফা হাফতারের লিবিয়ার জাতীয় সেনা (এল এন এ)।
খলিফা হাফতার তার অভিযানের প্রাথমিক পর্যায় ছাড়া তেমন একটা অগ্রগতি করতে পারেনি। তবে এখনো লিবিয়ার বেশিরভাগ তৈল স্থাপনা গুলো সহ দক্ষিণ এবং পূর্ব অংশের বিস্তৃত অংশ তার দখলে আছে। লিবিয়ার ভূমধ্যসারীয় উপকূলের কেন্দ্রে অবস্থিত সিরটি শহরটিও তার দখলে আছে।

রাশিয়া থেকে আমদানি করা যুদ্ধাস্ত্রের ওপর নির্ভরশীল হাফতার বাহিনী পিছু হটতে শুরু করেছে তুরস্কের ড্রোন বাহিনীর প্রবেশের পর থেকে। গত সপ্তাহে তুরস্কের ড্রোন হামলায় ধ্বংস হয় রাশিয়ার তৈরি প্যান্টসার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। তার পরেই তাদের এই বিমানবন্দরের দখল নেয়া বড়ো সাফল্য বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। এরই মাঝে সিরিয়া থেকে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান লিবিয়ায় পাঠানো হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ।
তবে দুই পক্ষই এখন রাশিয়ার মধ্যস্থতায় মস্কোতে শুরু হতে যাওয়া অস্ত্রবিরতি চুক্তির ব্যাপারে আলোচনায় সম্মত হয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘ আশা প্রকাশ করেছে যে এই আলোচনা লিবিয়ার শান্তির ভিত্তি রচনা করবে এবং করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশের যুদ্ধবিদধস্ত স্বাস্থ্য ব্যাবস্থার উন্নতিতে সহায়ক হবে।

Back To Top