জেরুজালেমে প্রতিবন্ধী মুসলিম যুবককে গুলি করে হত্যা করলো দখলদার ইসরাইলের পুলিশ

সাইফুল্লা লস্কর : কয়েক দিন আগে মিথ্যা অজুহাতে বাইতুল মোকাদ্দাস বা মসজিদুল আকসার প্রধান খতিবকে গ্রেফতার করা ইসরাইলি পুলিশ বাহিনীর বর্বরতার এবার শিকার হলো  ৩২ বছরের নিরীহ প্রতিবন্ধী যুবক ইয়াদ হালাক। তার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে গত শনিবার ইসরাইলের অবৈধভাবে দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে একটি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যাক্তিদের স্কুলে হওয়ার সময় বর্বর ইসরাইলি বাহিনী ইয়াদ হালাককে গুলি করে হত্যা করে। ইসরাইলি বাহিনী বলেছে, তারা সন্দেহ করেছিল যে তার কাছে বন্দুক আছে, যদিও পরে তল্লাশি করে তার কাছে কোনো অস্ত্রও পাওয়া যায়নি।

তার বাবা জানিয়েছেন, ইসরাইলি বাহিনী তাদের বাড়িতেও আসে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য। তার মা বলেছেন, “আমার নিরীহ ভদ্র নম্র ছেলে কোনো সাধারণ মানুষের কোনো ক্ষতি করতে পারেনা তো সশস্ত্র ইসরাইলি পুলিশের কি ক্ষতি করবে? আমি ইসরাইলের সরকারের কাছে এই ঘটনার ন্যায় বিচার চাই আর কিছু চাই না।” তার জানাজায় হাজারো মানুষের জমায়েত হয়। তারা প্রতিবাদ যাত্রা বের করে এই ঘটনায় জড়িত পুলিশ অধিকারিকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। তারা এই ঘটনাকে আমেরিকায় জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তুলনা করেছে যাকে আমেরিকার পুলিশ হত্যা করেছে।
তবে আরব এবং পশ্চিমা বিশ্বের আশীর্বাদ ধন্য ইসরাইল তাদের অন্যান্য মানবতা বিরোধী অপরাধের মতো এটার ও যে তেমন কোনো বিচারই করবেনা তা অনুমান করা খুব কঠিন নয়। মুসলিম বিশ্ব থেকে ইসরাইলের এমন নিত্যদিন মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং নিরীহ মুসলমানদের ওপর অকথ্য নির্যাতনের ঘটনার বিরুদ্ধে তেমন কোনো আওয়াজ ওঠেনা তাই ইসরাইল বিনা বাধায় নিজের দখলদারি কর্মসূচি এবং দমন পিড়নের নীতি চালিয়ে যাচ্ছে। নিরীহ প্যালেস্টাইনের মুসলমানদের জন্য মানবতা দেখানোর সময় কোনো বিশ্ব শক্তির নাই তাই এমন হাজারো ইয়াদ হালাকের মৃত্যু খবরের পাতা থেকে হারিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অতীত হয়ে যায় এবং ইসরাইল নতুন করে রচনা করে অন্য এক রক্তাক্ত অধ্যায়।

Back To Top