কবিতা-জ্যোৎস্নার আলো

জ্যোৎস্নার আলো

গোলাম কিবরিয়া

ফাগুনের রাতে জ্যোৎস্নার আলো হাতছানি দেয় মোরে।
চুপি চুপি এস জানালার পাশে উঁকি মারে বারে বারে।
ভয় পায় শুধু জেগে যায় কভূ এই ভেবে তার মন।
আড়ালে দাঁড়ায়ে চুপি চুপি দেখে আনন্দে জাগে প্রান।
আকাশের বুকে কোথা থাকে চাঁদ পৃথিবী ছড়ায় আলো
স্বাধীনতা তার এইখানে বাঁধা নিরবে চলিয়া গেলো।
দিনের আলোতে অধিকার নাই অন্ধকারের প্রদীপ।
আশা নিয়ে তবু বেঁচে থাকে সে প্রতিদিন জ্বেলে দীপ।
রাত পেরিয়ে দিনের বেলায় সূর্য উঠে প্রাতে।
সন্ধ্যা বেলায় জ্যোৎস্না ফুটে আশাহত ঐ মনে।
রাত্রি শেষে নিদ্রাহীন ক্লান্ত দেহ অবস হয়ে পড়ে।
সকাল বেলায় অশ্রুবিন্দু শিশির হয়ে ঝরে।
আকাশের দিকে চেয়ে দেখি তারে বুঝিনাকো তার মায়া।
বারে বারে আমায় মুগ্ধ করে অপরুপ তার কায়া।
আমি তাহার হ’ই কি কেহ ভাবেনিতো এই মন।
তবুও সে কভু আমার সমুখে করেনিকো অভিমান।
বিরহে দুঃখে ঝরেছে তাহার হৃদয় অশ্রু বারী।
ব্যাথাতুর মন সিক্ত হয়েছে কেউ বুঝিবে না তারি।
মায়ার উপরে মায়া পড়ে তার ছায়া হয়ে পাশে রয়।
কখনো সামনে কখনো পিছনে কখনও জড়িয়ে যায়।
এমনই করিয়া অনুভব তার পিছু নেয় শুধু কেন?
রাতের বেলায় কুটির আমার আগলে রেখেছে যেন।
এত ভালোবাসা এত মায়া তার অমূল্যে যায় বিলে।
যত আলো আছে সবটুকু দিয়ে পৃথিবী ভরিয়ে দিলে?
আঁধার রাতে তোমার কথা ভাবায় মোরে কত।
আকাশের বুকে লক্ষ তারা প্রলাপ করে যত।
তুমি কোন্ আড়ালে মৌনমুখে চুপটি বসে রও?
অন্ধকারের একাকিত্ব কেমন করে শও?
রাত জাগা ঐ তারা গুলো প্রহর গুনে বসে।
জ্যোৎস্না রাঙা চাঁদখানি ঐ উঠলো বুঝি ভেসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back To Top