প্রমাণের অভাবে জামিনে মুক্ত পপুলার ফ্রন্ট এর কর্মীরা, মুখ পুড়ল উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের

কিছু দিন আগে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই) সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার প্রস্তাব এনেছিলো। পুলিশের তরফে অভিযোগ করা হয় যে, ক্যা ও এন আর সি নিয়ে চলমান আন্দোলনে হিংসাত্মক কার্যকলাপে ভূমিকা ছিলো সংগঠনটির। তবে আদালতে কার্যত ধাক্কা খেলো উত্তর প্রদেশ পুলিশ। পপুলার ফ্রন্টের কোনো কর্মীর বিরুদ্ধে হিংসাত্মক কর্মকান্ডের উপযুক্ত প্রমান পেশ করতে ব্যর্থ হলো পুলিশ কর্তৃপক্ষ।

পপুলার ফ্রন্টের উত্তরপ্রদেশের রাজ্য সভাপতি ওয়াসিম আহমেদ আদালত থেকে রেহাই পান মঙ্গলবার। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি নাকি যাবতীয় হিংসাত্মক ঘটনা ঘটানোর মূল মাথা ছিলেন।

ছাড়া পাওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পপুলার ফ্রন্টের রাজ্য সভাপতি বলেন, ”সরকার মূলত আমাদের সংগঠনটির বদনাম করতেই এসব করছে। কোনো পাকাপোক্ত প্রমান নেই ওদের কাছে। পপুলার ফ্রন্টের গ্রেপ্তার হওয়া প্রায় ২৫ সদস্যের মধ্যে ১৯ জনকে আদালত থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। কারন পুলিশের কাছে আমাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ নেই।”

গত ২৩ শে ডিসেম্বর লখনউ পুলিশ পপুলার ফ্রন্টের সভাপতি ওয়াসিম আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ নাদিম আলী এবং বিভাগীয় সভাপতি আশফাককে গ্রেপ্তার করে তুলে নিয়ে যায়। পুলিশের তরফে অভিযোগ করা হয় যে তাঁদের কাছ থেকে নাকি উগ্রপন্থী চিন্তাধারার বইপত্র, পোস্টার, সিডি ক্যাসেট এবং ব্যানার সামগ্রী পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, নাদিম এবং আশফাকের জামিনের শুনানি পরের সপ্তাহে আছে।

মঙ্গলবার শামলি পুলিশ কতৃক গ্রেপ্তার হওয়া পপুলার ফ্রন্টের ১৯ জন সদস্যকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে দলের অন্যতম সদস্য মোহাম্মদ সাদাবও জামিনে মুক্তি পান।

সাদাব গ্রেপ্তার হওয়ার পর, শামলি থানার পুলিশ সুপার বিনীত জসওয়াল জানিয়েছিলেন যে, কাইরানা ঈদগাহ ময়দানে মুসলিমদেরকে হিংসায় প্ররোচনা
দেয় সাদাব। তাঁর বিরুদ্ধে পার্শ্ববর্তী মুজাফফর নগর এবং মেরুট জেলায় দেশরিরোধী কাজে মদত জোগানোর অভিযোগ তুলেছিলেন এই পুলিশ আধিকারিক।

হজরতগঞ্জের পুলিশ আধিকারিক ধীরেন্দ্র কুশবাহা জানিয়েছেন এখনও তাঁর নামে কোনো চার্জ শিট ফাইল করা হয় নি।

হজরতগঞ্জের এই পুলিশ আধিকারিক সংবাদ মাধ্যমকে জানান,” ওয়াসিম আহমেদ জামিন পেয়েছে ঠিকই, তবে তাঁর বিরুদ্ধে প্রমানপত্তর সংগ্রহের কাজ চলছে। আমরা ইতিমধ্যে তাঁর জড়িত থাকার প্রমান পেয়েছি, তা আদালতে পেশ করা হবে।”

উল্লেখ্য, পপুলার ফ্রন্ট এর বিরুদ্ধে যোগী সরকার মুখ খোলার বিশিষ্ট সমাজকর্মী থেকে শুরু করে ছত্রিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত দাবী করেন ক্যা এবংএন আর সি থেকে মুখ ঘোরাতেই পপুলার ফ্রন্ট কে নিশানা করছে সরকার। আদতে পপুলার ফ্রন্ট নির্দোষ।

Back To Top