বর্ধমান স্টেশনে প্রোড়া কে ধর্ষণ! মানবতা কোথায়?

ধর্ষণের পর ধর্ষণ! হরিয়াণাতে সিবিএসই এর টপার এর ধর্ষণের রেশ কাটতে না কাটতেই পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান স্টেশনে একটি প্রোড় মহিলা কে ধর্ষণ এর ঘটনায় চমকে উঠছে সবাই। কোথায় যাচ্ছি আমরা! আমরা কি বিশ্বের সব থেকে নিকৃষ্ট প্রাণীতে পরিণত হয়ে যাচ্ছি!

এক যুবকের পৈশাচিক যৌন লালসার শিকার হলেন ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা। শুক্রবার সাতসকালে আরও এক চুড়ান্ত অমানবিক ঘটনার নজীর সৃষ্টি হল বর্ধমান ষ্টেশন এলাকায়। অত্যাচারিত ওই বৃদ্ধার বাড়ি হুগলীর শ্যাওড়া গ্রাম এলাকায়। পরিবারের অনেকেই থাকা সত্ত্বেও কেউ তাঁকে না দেখায় তিনি ট্রেনে ভিক্ষা করেই নিজের দু মুঠো খাবার জোগাড় করতেন। অন্যদিনের মতই তিনি বৃহস্পতিবার রাতে বর্ধমান ষ্টেশনে পার্সেল বিভাগের কাছে শুয়ে পড়েন। ভোরবেলায় এক যুবক তাঁকে চা খাওয়ানোর নাম করে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তাকে প্ল্যাটফর্মের পাশে কচুবনে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এমনকি ওই বৃদ্ধার গোপনাঙ্গে রীতিমত পৈশাচিক অত্যাচারও চালানো হয় বলে অভিযোগ। এরপর তাঁকে ফেলে রেখেই পালিয়ে যায় ওই বিকৃতকামী ওই যুবক।

বেশ কিছুক্ষণ পর ওই বৃদ্ধা রক্তাক্ত অবস্থায় সেখান থেকে উঠে আসেন ষ্টেশনের কাছে একটি মিষ্টির দোকানে। রক্তে তার সারা শরীর ভেসে যেতে দেখে স্থানীয় কয়েকজন যুবক তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে দিয়েই পালিয়ে যায়। এই ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে হাজির হন কর্তব্যরত তিন সাংবাদিক সইফুল হোসেন মল্লিক,সুজাতা মেহেরা এবং সুমিত ভগত। তাঁরাই জরুরী বিভাগের চিকিৎসকের কাছে ওই বৃদ্ধার চিকিৎসার জন্য আবেদন জানান। ইতিমধ্যে খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ নাসির আহমেদ। কার্যত ৩জন সাংবাদিক এবং পুলিশের উদ্যোগেই এদিন হাসপাতালের চিকিৎসকরা ওই বৃদ্ধার চিকিৎসা শুরু করেন। তাঁকে গাইনী বিভাগে ভর্তি করা হয়। ওই বৃদ্ধা জানিয়েছেন, তিনি কখনও এই দিনটি দেখতে হবে তা স্বপ্নেও ভাবেননি।

 

Back To Top