বায়তু সারিকা আল খাইর ট্রাস্ট এর ব্যবস্থাপনায় মুর্শিদাবাদের নাজিরপুর এসেরপাড়া হাইস্কুলে গণ বিবাহের আয়োজন
ইমাম সাফি, ইসলামপুরঃ পণ হলো সমাজের অন্যতম বড় ব্যাধি। এই পণ ব্যবস্থা থেকে সমাজকে মুক্ত করতে গণ বিবাহের আয়োজন করলো বায়তু সারিকা আল খাইর ট্রাস্ট। বুধবার মুর্শিদাবাদ জেলার নাজিরপুর এসেরপাড়া হাইস্কুল মাঠে এই গণ বিবাহের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে ১৩ জোড়া যুগলের বিবাহ সম্পন্ন হয়। উক্ত অনুষ্ঠানটি জামাতে ইসলামী হিন্দের সহযোগিতায় সম্পন্ন করা হয়। মোহর হিসাবে প্রত্যেক বিবাহিত মহিলাকে একটি করে ১২ গ্রামের সোনার গয়না উভয়কে পোশাক ও যাওয়া আসার যাবতীয় খরচ দেওয়া হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বায়তু সারিকা আল খাইর ট্রাস্টের প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর মুহাম্মদ কাবির, একাউন্টট্যান্ট রিয়াজ আহামেদ, উত্তর ভারত কোঅর্ডিনেটর আব্দুল ওয়াদুদ সহ প্রমুখরা।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জামাতে ইসলামী হিন্দের বিশিষ্ট দায়িত্বশীল সামসুল আলম।
বায়তু সারিকা আল খাইর ট্রাস্টের উত্তর ভারতের দায়িত্বশীল আব্দুল ওয়াদুদ বলেন ইন্টারন্যাশনাল চ্যারিটি অর্গানাইজেশনটি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজের দায়িত্ব বায়তু সারিকা আল খাইর ট্রাস্টকে দিয়ে থাকে। তিনি বলেন ইসলামী শরিয়া মতে টাকা বা গয়না দিয়ে স্ত্রীকে মোহরানা প্রদান করে বিবাহ সম্পন্ন করা উচিত। অথচ বর্তমানে সেটি না হয়ে পণপথা চালু হয়েছে। ইসলাম বিবাহকে সহজ করে দিয়েছে অথচ আমরা সেটিকে কঠিন করেছি। বর্তমানে বিবাহকে কঠিন ও ব্যাভিচারকে সহজ করে দেওয়া হয়েছে। তাই আমাদের এই ট্রাস্ট গণবিবাহের মাধম্যে দুস্থ ছেলে বা মেয়ে সহজভাবে বিবাহ সম্পূণ করার উদেশ্যে এই উদ্যোগ। গোটা পশ্চিমবঙ্গে ২১১ দম্পতির গণ বিবাহের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।