কলকাতা প্রেসক্লাবে ‘ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’ এর বার্ষিক সম্মেলন

দিনকাল ডেস্কঃ সময় এগিয়ে যাচ্ছে। পাল্টে যাচ্ছে যুগ। যুগের পরিবর্তনে কে কোথায় পাল্টে যাচ্ছে কেউ তার খবর রাখি না আমরা। ট্রেদিলের ছাপাখানা এখন প্রায় নেই বললেই চলে। সেখানে রমরমিয়ে চলছে কম্পিউটার। অত্যাধুনিক সব ছাপাখানা, শুধু সাদা-কালো নয় হরেক রকমের রঙের বাহার নিয়ে কত শত পত্র-পত্রিকা হররোজ প্রকাশিত হচ্ছে। সাদা-কালো পত্রিকাও বের হচ্ছে। গ্যাটের জোর না থাকলে ছোট ছোট পত্র-পত্রিকার এযুগে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা খুবই কঠিন কাজ। রঙিন-এর ভিড়ে সাদাকালো বেমানান হলেও নয় নয় করেও রাজ্যে বেশ কয়েক হাজার সাদা-কালোর সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক সংবাদপত্র নিজেদের গুনে আজ মাথা উঁচু করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এই দাপিয়ে বেড়ানোর পাশাপাশি বুকে অনেক যন্ত্রনা তাদের। না আছে সরকারি  বিজ্ঞাপন না আছে বেসরকারি বিজ্ঞাপনও। কিন্তু তারাই গ্রাম বাংলার প্রতিনিধি। তারাই আজ গাঁয়ের খবর জনমানসে তুলে আনে। তারাই সরকারের উন্নয়নের কাব্য লেখে। বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে তারাই থেকে যায় ব্রাত্য।

 বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার বাজার। সোশ্যাল মিডিয়ার খবরা খবর এখন দ্রুত গতিতে গ্রাম-শহর, জেলা-রাজ্য, দেশ-বিদেশে মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ছে। হাতে একটা এন্ড্রয়েড মোবাইল যথেষ্ট। আপনি সাংবাদিক, আপনি চিত্রসাংবাদিক, আপনিই সম্পাদক। ইউটিউব এর মাধ্যমে আপনার খবর দেশ-দেশান্তরে আলোড়ন তুলতে পারে। এ থেকে আয়ের পথও থাকছে খোলা। ভালো খবর করতে পারলে বিজ্ঞাপন আসতে দেরি করবে না। ইউটিউব সংস্থাও আপনাকে পয়সা দেবে।

 গ্রামীণ সংবাদ পত্র-পত্রিকার পাশাপাশি আধুনিক ‘ডিজিটাল মিডিয়া’ নতুন প্রজন্মকে পথ দেখাতে পারে। সবাইকে এক ছাতার তলায় এনে কাজ করা যায় কিনা, এবং তার সুবিধা অসুবিধা নিয়ে আজ কলকাতা প্রেসক্লাবে ‘ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’ এর বার্ষিক সম্মেলনে বিস্তারিত আলোচনা হয়, একই সঙ্গে এই স্বাধীন কল্যাণ মুখী সংগঠন দুর্বল, অসুস্থ, প্রবীণ সাংবাদিক দের পাশে থাকতে আজ অঙ্গীকারবদ্ধ হন। উপস্থিত ছিলেন উক্ত সংগঠনের সভাপতি  সাংবাদিক শাহজাহান সিরাজ সহ বহু বিশিষ্ট সাংবাদিক বৃন্দ এবং এই সভাতে অংশগ্রহণ করে নবাগত সাংবাদিক ও কলেজে পড়ুয়ারা

Back To Top