ইসলামে ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শন এবং তার শিক্ষা

মোহাম্মদ সাদউদ্দিন

ইসলাম যেমন শান্তি- মৈত্রী- সাম্য ও সৌভ্রাতৃত্বের ধর্ম তেমনি এর মধ্যে ধৈর্য, সহনশীলতা এবং সংযম খুব নির্দিষ্ট। শিরোচ্ছেদ বা খুনোখুনি ও হত্যা একেবারে নিষিদ্ধ। একটি প্রাণহানি বিনা কারণে যাতে না হয় সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ইদানিং কালে এক ধরনের জটিল চক্র নবী করিম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসসালাম কে নিয়ে কলঙ্ক লেপন ও চরিত্র হনন করার চেষ্টা করছে। তার ব্যঙ্গচিত্র এঁকে তাকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা চলছে। তার প্রতিবাদ স্বরূপ কোনো প্ররোচনার ফাদে পা না দিয়ে সেটাকে সংযমের সঙ্গে মোকাবিলা করার দরকার। না কোনো রক্তপাত বা খুনোখুনি না হয়। নীরব ও সংযমী প্রতিবাদ আরো বেশি শক্তিশালী। আর যদি পাল্টা হিসাবে খুনোখুনি বা খুন- খারাবির আশ্রয় নেওয়া হয় তাহলে সেটা হবে আরো বোকামি।আর ঐ প্ররোচনার ফাঁদে পা দিলে তা বাড়তে থাকবে। নবী কেরিম ( সাঃ) যুদ্ধ আহ্বান করেননি।যখনই কেউ আক্রমণ করেছেন তখনই তিনি বাধ্য হয়ে প্রতিরোধের পথ বেছে নিয়েছেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তিনি আপস মীমাংসা করার চেষ্টা করেছেন।এই হচ্ছে পৃথিবীর একজন শ্রেষ্ঠ মহামানবের মহানুভবতা।তিনি যে একজন শ্রেষ্ঠ সংগঠক তার প্রমাণ তিনি নিজেই।যুদ্ধে শত্রু পক্ষ হেরে যাওয়ার পরও তাদের সঙ্গে সৌভ্রাতৃত্ব পূর্ণ আচরণ করেছেন।তাদেরকে ক্ষমাশীল ও ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখেছেন।
একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, যে বা যারা নবী সাহেবের ব্যঙ্গচিত্র আঁকেন বা তাকে কলঙ্কিত করেন তারা কিন্তু দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দেয়।তাঁকে নিয়ে অপমানসূচক বক্তব্য ভীতিপ্রদর্শক প্রতিক্রিয়া জন্ম দেয়। তবুও পবিত্র কোরআন শরীফে বলা হচ্ছে,” ভালো আর মন্দ এক নয়।যা উৎকৃষ্ট তা দিয়ে মন্দের মোকাবিলা করো যার সাথে শত্রুতা সে ঘনিষ্ঠ মিত্রে পরিণত হবে”— সুরাট ফুসিলাত(41):34।
এটি একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ বার্তা যা মুসলিমরা মানে এবং অন্য ধর্মের লোকদের এ বিষয়ে শিক্ষিত করা উচিত। এরকম অসংখ্য অনুচ্ছেদ রয়েছে পবিত্র কোরআন শরীফে যা একই বার্তা তুলে ধরে যা প্রতিটি মুসলিম নিজের দৈনিক জীবনে তুলে ধরতে বা অনুসরণ করতে বাধ্য।হিংসা সমস্যার সমাধান নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back To Top