মোদীভক্ত 28 অবাঙালি শিল্পপতি ব্যাঙ্ক লুঠেরা ও জালিয়াত

মোহাম্মদ সাদউদ্দিন 

সম্প্রতি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার ভার্চুয়াল ভাষণে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “আত্মনির্ভতার” আদর্শ উচ্চারণ করলেন। দেশ কেন আজ জিডিপিতে তলানিতে গেল সে কথা এড়িয়ে গেলেন। বলতে পারলেন তার ঘনিষ্ঠ 28 অবাঙালি শিল্পপতি  দুর্নীতিবাজ ও লুঠেরা পুরোপুরি জালিয়াত।

২৮ জন অবাঙালি শিল্পপতি যারা ভারতীয় ব্যাঙ্কের টাকা লুটেছেন।

১) বিজয় মালিয়া

২) মেহুল চক্সি

৩) নীরব  মোদি

৪) নিসান মোদী

৫) পুস্পেস বৈদ্য

৬) আশীষ জবানপুত্রা

৭) সানি কালারা

৮) আরতি কালারা

৯) সঞ্জয় কালারা

১০) বর্ষা কালারা

১১) সুধীর কালারা

১২) যতীন মেহ্তা

১৩) উমেস পারিখ

১৪) কমলেশ পারিখ

১৫) বিনয় মিত্তল

১৫) নিলেস পারিখ

১৬) একলব্য গর্গ

১৮) চেতন জয়ন্তী লাল

১৯) নিতিন জয়ন্তী লাল

২০) দীপ্তি বেইন চেতন

২১) সাভিয়া শেঠ

২২) রাজিব গোয়েল

২৩) অলকা গোয়েল

২৪) ললিত মোদী

২৫) রীতেশ জৈন

২৬) হিতেশ নগেন্দ্রভাই প্যাটেল

২৭) ময়ূরীবেন প্যাটেল

২৮) আশীষ সুরেশভাই 

এই ২৮ জন মিলে ব্যাঙ্ক লুঠ করেছেন।

১০,০০০,০০০,০০০,০০০ টাকা। প্রায় দশ ট্রিলিয়ন টাকা। আপনাদের জ্ঞাতার্থে কয়েকটি তথ্য দিয়ে রাখি। 

এই ব্যাঙ্ক লুঠেরাদের মধ্যে যাদের কোন নাম নেই।  

* কোনো মুসলমানগণ

* কোনো খালিস্থানি

* কোনো উগ্রপন্থী

* কোনো নকশাল

* কোন বাঙালীর

* কোনো SC, ST, OBC,-র মানুষজন।

চমকে যাওয়ার মতো ঘটনা। এই ২৮ জনের মধ্যে শুধুমাত্র বিজয় মালিয়া ছাড়া বাকি 

সবাই গুজরাটি।

এদেরই লুঠ করা সম্পদে যখন দেশ সর্বস্বান্ত। তখনি নজর পড়লো লাভজনক রাষ্ট্রয়ত্ত সংস্থার উপর। দিনের পর দিন পেট্রোল ডিজেল রান্নার গ্যাস, নিত্যপন্য দ্রব্যর মূল্যবৃদ্ধি, হতে লাগলো।

এই মুনাফালোভী কুচক্রী দেশের শত্রুদের লোকসান সামলাতে এলআইসি, বিএসএনএল, বিমান পরিবহণ, রেল এর মত সংস্থাগুলো বেসরকারিকরন হতে লাগলো। এবার নজর পড়েছে কৃষিজমি ও কৃষিজাত পণ্যের দিকে।

আজকে যারা বিজেপির মতো দলকে জামাই আদর করে এই বাংলায় ডেকে আনতে চাইছেন। এই লুটেরার দল যদি একবার বাংলার মসনদে বসে। তাহলে বাংলাকে আবার ১৯৪৩ এর মতো মন্নন্তর এর সম্মুখীন হতে হবে। ৪৩ তে কৃত্রিম ভাবে সৃষ্টি করা দুর্ভিক্ষতে না খেয়ে ৬০ লক্ষ বাঙালী মরেছিল।

এইবার কি হবে কে জানে!

৪৩ তে তবুও ফ্যান দাও ফ্যান দাও এর হাহাকারে একটু ফ্যান পাওয়া গেছিল। এবার তাও জুটবে না। কারণ শস্যভাণ্ডার এদেরই গুদামজাত করা।

যারা এখনো আচ্ছে দিনের স্বপ্নে মশগুল হয়ে এই অপশক্তিকে জামাই আদর করে ডেকে আনতে চাইছেন, তারা দয়া করে একটিবার ভাবুন। অন্তত নিজের পরিবারের জন্য ভাবা প্র্যাকটিস করুন।

মতামত লেখকের নিজস্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back To Top