ডেমোক্রেসি ইনডেক্স এ ২০১৪ সালের ২৭ থেকে মোদির সৌজন্যে এখন ৫৩ তম স্থানে ভারত এক “ফ্লড ডেমোক্রেসি”

বিশ্বখ্যাত জনপ্রিয় দৈনিক দ্যা ইকোনমিস্ট এর ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এর প্রকাশ করা ডেমোক্রেসি ইন্ডেক্স, চিত্রিত করে বিশ্বের কোন দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ কতটা স্বাধীন এবং সুচারুরূপে কায়েম রয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারতবর্ষে পূর্বতন কংগ্রেস সরকারের জামানার শেষ বছর ২০১৪ সালে, ভারত এই রাঙ্কিং এ ২৭ তম স্থানে ছিল। মোদি সরকার ৬ বছর রাজত্ব করার পর বর্তমানে ভারতের অবস্থান ২৭ থেকে বারবার অবনমন এর শিকার হয়ে গিয়ে ২০২০ সালে পৌঁছেছে ৫৩ তম স্থানে। দ্য ইকোনমিস্টের পরিভাষায় ভারত এখন একটা ফ্লড ডেমোক্রেসি অর্থাৎ ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র।

মোদি সরকারের আগমনের পর থেকে বারবার ভারতের জনসাধারণের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করতে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করেছেন মোদি সরকার। যার কারণে ব্যাহত হয়েছে ভারতের গণতান্ত্রিক পরিবেশ। ভারতের বর্তমান সংবাদ মাধ্যমগুলো বেশিরভাগই মোদি সরকারের গুনো গান গেয়ে চলে। যে কোনো গণতান্ত্রিক দেশের জন্য স্বাধীন গণমাধ্যম অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা ভারতবর্ষে আর তেমন দেখা যায় না। কাশ্মীর থেকে দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ থেকে মহারাষ্ট্র বিভিন্ন জায়গায় সরকারি বিভিন্ন সংস্থাগুলির সাহায্যে মোদি সরকার রাজনৈতিক স্বার্থে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিপরীতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যার ফলে ভারতের গণতান্ত্রিক পরিমণ্ডল খারাপ হয়েছে। ভারতের গণতন্ত্রের পরিবেশ ব্যাহত হওয়ার পিছনে এইসব কারণগুলিকেই দায়ী করেছে দ্যা ইকোনমিস্ট।

১৬৭ টি দেশের সাহায্যে তৈরি করা এই তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে নরওয়ে। প্রথম পাঁচটি দেশের মধ্যে নাম রয়েছে আইসল্যান্ড, সুইডেন, নিউজিল্যান্ড এবং কানাডার। ভারত গত বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালের এই তালিকা ৫১ তম স্থানে ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back To Top