Category: বিশ্ব

বাবরি মসজিদ রায়ের পুনর্বিবেচনার দাবীতে পপুলার ফ্রন্ট এর সভা

বহরমপুর: গত ৯ নভেম্বর দেশের সর্বোচ্চ আদালত কয়েকশো বছরের পুরনো ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের জমির মালিকানা মামলায় বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণে রামলালাকে প্রদান করেছে। পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া মনে করে সর্বোচ্চ আদালতের এই রায় ন্যায়বিচার দানে ব্যর্থ ও পক্ষপাত দুষ্ট। এই রায়ে প্রমাণের ভিত্তি উপেক্ষা করে বিশ্বাসকে প্রতিষ্ঠা দেওয়া হয়েছে যা সংবিধান ও বিচার […]

ঠিক কার মুখ

~রফিক উল ইসলাম মধ্যরাতে, হঠাৎ এই ঘুম ভেঙে গেল, জেগে ওঠে তুমি ঠিক কার মুখ দেখো? অনন্ত আকাশে হারিয়ে যেতে যেতে একলা চড়ুই তোমার ঘরের ঘুলঘুলিতে বাসা বুনেছিল, সামান্য কিছু খড়কুটো নিয়ে। গভীর রাতে থেমে থাকে তার উৎকণ্ঠার সব কিচির-মিচির! হয়তো সে-ও এক সুভাষিত ভোরের অপেক্ষায় হঠাৎ ঘুম ভেঙে জেগে জেগে ওঠে। কিন্তু প্রগাঢ় অন্ধকারে […]

কবিতাঃ খেলাঘর

~গোলাম মহাম্মদ ছন্দে বাজিল সুর সুদূরে হৃদয় পুর বাজিছে জল নূপুর তোমার এ রাঙা পায় ! যা ছিল মননে মোর খুলিয়া দিয়াছে দোর আকাশে ঘিরেছে ঘোর ডহর হয়েছে ছায় ! যা ছিল আমারই ভুল ভাসিয়াছে দুই কুল হলুদের কোলে ফুল জীবন যন্ত্রনায় ৷ যা ছিলনা তাহা থাক নিয়াছো নবীন বাঁক মলিনতা ধুয়ে যাক প্রণয়ের জোস্ৎনায় […]

মিশরের স্বৈরশাসক আল সিসির পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ শুরু দেশ জুড়ে

#বিশ্ব মিশরের স্বৈরশাসক জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি-র পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে মিশরের মানুষ। শুক্রবার দেশজুড়ে বিভিন্ন শহরের রাস্তায় নামে হাজার হাজার গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারী। রাজধানী কায়রোর তাহরির স্কয়ার ছাড়াও আলেকজান্দ্রিয়া, সুয়েজের মতো বড় বড় শহরগুলোতেও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার রাতে হঠাৎ করে রাস্তায় নেমে আসেন হাজার হাজার মানুষ। তাদের মুখে একটাই স্লোগান-‘সিসি তুমি বিদায় হও’। শুক্রবার রাতের এই বিক্ষোভ দমনে কোথাও কোথাও পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করেছে। এছাড়া বহু বিক্ষোভকারীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। রাজধানীর তাহরির চত্বর জড়ো হয়েছিল কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। ২০১১ সালের গণঅভ্যুত্থানে এই চত্বর থেকেই সারা দেশে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। বলতে গেলে গোটা আন্দোলন নিয়ন্ত্রিত হতো এই চত্বর থেকে। কায়রোর পাশাপাশি আলেকজান্দ্রিয়া ও সুয়েজসহ আরও কয়েকটি শহরে সিসি’র সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। মিশরের সরকার বিরোধীরা সিসি-কে দেশটির অবৈধ প্রেসিডেন্ট বলে মনে করেন। এছাড়া সম্প্রতি সিসি’র বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ২০১২ সালের ৩০ জুন মিসরের ইতিহাসের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মুসলিম ব্রাদারহুড নেতা শহীদ মুহাম্মাদ মুরসি। এর এক বছরের মাথায় ২০১৩ সালের ৩ জুলাই সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মুরসিকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেন ইসরাইল ও সৌদির মদতপুষ্ট সেনাপ্রধান জেনারেল সিসি। প্রতিবাদে মুরসি সমর্থকরা রাস্তায় নামলে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হন ব্রাদারহুডের প্রায় হাজারখানেক নেতাকর্মী। অভ্যুত্থানে পৃষ্ঠপোষকতা দেয় ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলো। সরকারিভাবে বিবৃতি দিয়ে মুরসি সমর্থকদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যায়িত করে জেনারেল সিসি’কে সমর্থন দেয় সৌদি আরব। সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করা হয়। মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় দলটির প্রায় হাজারখানেক নেতাকর্মীকে। গ্রেফতার করা হয় কয়েক হাজার মুরসি সমর্থককে। কারাগারে পাঠানো হয় মিশরের ইতিহাসের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ মুরসিকে। অন্তরীণ অবস্থাতেই কারাগারের খাঁচায় শহীদ হন তিনি। কঠোর গোপনীয়তায় তাকে দাফনে পরিবারকে বাধ্য করা হয়। বাবার মৃত্যুর দুই মাসের মাথায় রহস্যজনকভাবে মারা যান মুরসির ২৪ বছরের পুত্র আবদুল্লাহ মুরসি। অনেকের আশঙ্কা, বাবার মৃত্যুর জন্য সরকারকে দায়ী করায় তাকে কৌশলে হত্যা করা হয়েছে। ২০১৩ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর জেনারেল সিসি সরকারের বিরুদ্ধে মিসরে এটিই সবচেয়ে বড় ধরনের বিক্ষাভ। সূত্রঃ আল জাজিরা

Back To Top