নামায পড়ার জন্য মসজিদের আবশ্যকতা নেই, রায় সুপ্রিম কোর্টের

বাবরী মসজিদে মুসলিমদের নামায পড়ার জন্য আবেদনের ভিত্তিতে ১৯৯৪ সালে যে রায় দেওয়া হয়েছিল সেই রায়ের পুনর্বিবেচনা এবং বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানোর দাবিতে মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। সেই আর্জি আজ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দিয়েছেন, যে কোন ধর্মের জন্য উপাসনালয় প্রয়োজন হলেও সরকারি কাজের জন্য তা অধিগ্রহন করা যেতে পারে। এই রায় অযোধ্যার মূল মামলায় কোন রকম প্রভাব পড়বে না বলেও জানিয়েছেন। এদিন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বে তিন বিচারপতি বেঞ্চে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে রায় জানানো হয় যে ১৯৯৪ সালের ওই রায় বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানোর প্রয়োজন নেই। তবে বিচারপতি আব্দুল নাজির বলেন মসজিদ ইসলামের অপরিহার্য অঙ্গ কি নয়, সেটা ধর্মবিশ্বাসের ভিত্তিতেই ঠিক করা উচিত। আর সেই কারনেই এই মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানো প্রয়োজন।

  1. মুসলিম সংগঠনের তরফে বলা হয়েছিল 1994  সালের রায় খতিয়ে দেখা  হোক। তাদের দাবি ছিল মূল মামলার আগে এটার শুনানি হোক। পাল্টা হিন্দু সংগঠন বলেছে এটা মামলায় অকারণ  দেরি করার কৌশল।
  2. আদালত  জানিয়ে দেয় 1994 সালের মামলা মূল মামলার উপর প্রভাব ফেলবে না। আরও বলা হয়  ধর্মীয় স্থান অধিগ্রহণ করা যেতে পারে। তবে  তিন বিচারপতির মধ্যে একজন সম্মত হননি।
  3. মূল মামলার শুনানি শুরু হবে অক্টোবর মাস থেকে।
  4. এই রায়ের ফলে রাজনৈতিক ভাবে লাভবান হতে পারে বিজেপি। এমনিতেই তারা রামমন্দির তৈরির কথা বলে আসছে। আর তাই সামনের লোকসভা নির্বাচনের আগে  রায় নিজেদের পক্ষে ইয়াক সেটাই চাইছে  বিজেপি।
  5.  1992 সালে বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলেন করসেবকরা। তাদের দাবি সেখানে রাম মন্দির নির্মাণ করতে হবে। এর পর এলাহাবাদ আদালত জমিটি হিন্দু এবং মুসলিম আবেদনকারীদের  মধ্য ভাগ করার নির্দেশ দেয়। এর বিরুদ্ধেই মামলা হয়েছে।

 

 

খবরঃ সংবাদ সংস্থা

Back To Top