হুগলী সরকারি মাদ্রাসাঃ একটি ইতিহাসের মৃত্যু ঘণ্টা

~~মোহাম্মদ সাদউদ্দিন

হুগলী মাদ্রাসা

পৃথিবীর ইতিহাসে একজন দানশীল ব্যক্তি হিসাবে হাজী মহম্মদ মহসীনের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখিত। তাঁকে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে সে ভাবে আলোচনা বৃহৎ পর্যায়েসেভাবে হয়নি। তাঁকে স্মরণ করে রেখেছে হুগলী ইমামবাড়া, হুগলী ইমামবাড়া হাসপাতাল, হুগলী ইমামবাড়া স্কুল, হুগলী ব্রাইড স্কুল , হুগলী কলেজিয়েট স্কুল,হুগলী মহসীন কলেজ, ও  সর্বোপুরি হুগলীসরকারী মাদ্রাসা। একে মাদ্রাসা মহসীনও বলা হয়। দেশ ভাগ হলেও অবিভক্ত বঙ্গেরপূর্বাংশ বা পূর্ববঙ্গ কিংবা পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ বাংলাদেশেও তার দানেরস্বাক্ষর রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল খুলনা শহরের দৌলত পুরে অবস্থিত ব্রজলাল সরকারী কলেজ । কিন্তু দুঃখের বিষয় হুগলী সরকারী মাদ্রাসা আজ ধ্বংস প্রাপ্ত । এই শতাধিক বছরের পুরনো এই মদ্রাসার আজ মৃত্যু ঘণ্টা । সরকারহীন ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়ে একটি ইতিহাসের মৃত্যু হয়ে গেল। বলা ভাল অপমৃত্যু। যদিও সরকার পক্ষের কিছু মুসলিম পেটোয়া বা অর্থলিপ্সুরা এখন চাউর করে বেড়াচ্ছে যে, রাজ্য সরকার হুগলী মাদ্রাসাকে ভাল কিছু করার ভাবছে। তারা কোন মুসলিম যারা এখন সরকারের হয়ে এই স্তুতি করছে? তারা সেই মুসলিম যারাএক সময় ২০০৬-২০০৭ সালে যখন কলকাতার তালতলা এলাকার হাজী মহম্মদ মহসীন স্কোয়ার অবস্থিত কলকাতা মাদ্রাসা কলেজকে (১৭৮০) আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় করার সময় তার সঙ্গে মাদ্রাসা কথাটি যুক্ত করার জন্য তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার এর আমলে আন্দোলন করেছিল। কলকাতা মাদ্রাসা কলেজের আরও একটি নাম ‘মাদ্রাসা-এ আলেয়া’। তৃনমূল তখন ২০০৭-২০০৭ সালে ‘মাদ্রাসা’ শব্দটি বসানোর ব্যাপারে সমর্থন জানিয়েছিল । ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরেও তৃনমূল একটি মেয়াদ শেষ করে দ্বিতীয়বার পশ্চিমবাংলায় ক্ষমতায় এসেছে। কই আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েরপাশে ‘মাদ্রাসা ’ শব্দটি বসেনি। তারা এখন কোথায় । আর কলকাতা মাদ্রাসা কলেজ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছিল বলে আজ মুসলিমদের উচ্চশিক্ষার হার বাড়ছে । প্রতি বছর গবেষকদের সংখ্যা বাড়ছে। পি এইচ ডি-র সংখ্যা বাড়ছে। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের  পাশে যারা ‘মাদ্রাসা’ শব্দটি বসানোর সওয়াল করেছিল।

সেই সব মুসলিমদের অনেক কে আমি চিনি । তাদের ছেলে-মেয়েরা কিন্তু কেউ মাদ্রাসায় পড়ে না। তাদের ছেলে-মেয়েরা ডনবস্কো অথবা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলেপড়ে। ওই সব মুসলিমদের অনেকেই কোটিপতি । এরাই মনে হয় ইতিহাসের একেক জন ‘মীরজাফর’ কিংবা ‘জগতশেঠ’ । আমি এটুকুই জানি যে এখন ওই সব আলিয়াবিশ্ববিদ্যালয়ের বিরোধীরা কিন্তু ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘খয়ের খা’ হয়েছেন। ওরা বাম আমলে ফায়দা তুলেছে। আবার ওরা যখন দেখল গদি টলমল তখন ওরা তৃণমূলের শিবিরে ভিড়ল। পশ্চিমবঙ্গের সমাজ জানে কে তারা ?

হুগলী ইমামবাড়া

যাইহোক এবার হুগলী মাদ্রসা প্রসঙ্গে আসি । দানবীর ও দান-সম্রাট মহাত্মা হাজী মহম্মদ মহসীন (১৭৩২-১৮১২) তার সমস্ত স্থাবর- অস্থাবর সম্পত্তি জন সাধারণের সেবায় ওয়াকফ করে যান। ব্রিটিশ সরকারকে দেখভাল করার জন্য দায়িত্ব দিয়ে যান। ১৮১২ সালে মহসীনের মৃত্যুর পর তাঁর ওয়াকফ সম্পত্তির আর্থিক সহযোগিতায় ১৮১৭সালে চুঁচুড়ার গঙ্গার তীরে ‘ মাদ্রাসা – ই- মহসীনিয়া’ তৈরি হয়। এটিই বর্তমানে হুগলী সরকারী মাদ্রাসা বা হুগলী গভর্নমেন্ট মাদ্রাসা । ১৮৩৬ সালে মহসীন ‘এন ডাউমেন্ট ফান্ড’ থেকে হুগলী মহসীন কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলে ‘হুগলী সরকারী মাদ্রাসা বা মাদ্রাসা-ই- মহসীনিয়া’ এই কলেজের মধ্যেই পরিচালিত হত। ১৮৭৩ সালে হুগলী মাদ্রাসা ও তার ছাত্রাবাসের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ১৮১৫ সালের ১৫ এপ্রিল রিফরমড মাদ্রাসা পাঠ্যক্রম দেশের সর্বত্র চালু হলেহুগলী মাদ্রাসাকেও এই পাঠ্যক্রমের আওতায় আনা হয়। ১৯২২ সালে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হুগলী মহসীন কলেজের অধ্যাক্ষ-এর  হাতে চলে যায়। ১৯২৫ সালে মাদ্রাসা শিক্ষার সঙ্গে আধুনিক শিক্ষার নিউ স্কিম চালু হয় । ১৯৪০ সালে হুগলী মাদ্রাসাকে ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজের মর্যাদা দেওয়া হয়এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বোর্ডের আওতায় আনা হয়। স্বাধীনতার পরেও ১৯৬২ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা বোর্ডের অফিস এখানেইছিল । সরাসরি এটি পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যালয় শিক্ষা অধিকর্তা বা Directorate for school education (DSE) দ্বারা পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাস বোর্ডের অধিনেসংখ্যালঘু মুসলিমদের একটি ঐতিহ্যবাহী ঐতিহাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । পরবর্তীতে ২০০৭ সালে হুগলী মাদ্রাসাকে শিক্ষা অধিকর্তার বা Directorate for madrasa education (DME) এর আওতায় আনা হয়। ১৯৩৮ সালে হুগলী মহসীনকলেজ বিল্ডিং থেকে ডাচ ব্যারাকে স্থানান্তর করা হয়।

হুগলী মাদ্রাসার ইতিহাস থেকে জানা যায় অবিভক্ত বঙ্গদেশে মহসীনের অর্থে মোটচারটি এই ধরণের মাদ্রাসা স্থাপন করা হয় । হুগলী বাদ দিয়ে ৩টি মাদ্রাসা ঢাকা , চট্টগ্রাম, ও রাজশাহীতে স্থাপন করা হয়। হুগলীর চুঁচুড়াতে গঙ্গার তীরে মাদ্রাসা শ্রেণীকক্ষ , লাইব্রেরি , হোস্টেল,লাগোয়া মসজিদ মিলেমিশে একাকার। আর ওখানে গেলে মনে হয় ‘ গঙ্গার তীরস্নিগ্ধ সমীর জীবন জুড়ালে যেন’।

 এই রকম একটি ইতিহাস ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠিত আজ কার্যতঃ নিস্ক্রিয় হয়ে গেছে রাজ্য সরকারী নোটিশের মাধ্যমেই। যখন অন্য দুই প্রতিষ্ঠান হিন্দু স্কুল ও প্রেসিডেন্সী বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাবেক হিন্দু কলেজ, পরে প্রেসিডেন্সী কলেজ, তারও পরে বিশ্ববিদ্যালয়) ২০০ বছরপূর্তি সরকারী সহযোগিতায় জাঁকজমক ভাবে পালিত হয় তখন ২০০ বছরের প্রতিষ্ঠান হুগলী মাদ্রাস নিয়ে রাজ্য সরকার নীরব । মুসলিম সমাজেরই কিছু পেটোয়া মার্কা ও তথাকথিত ‘ মিল্লাত দরদী’ চাউর করেছে এই ভাবে যে, হুগলী মাদ্রাসাকে আরও ভাল ভাবেসংস্কার করার জন্য সাময়িক ভাবে বন্ধ করা হয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য বলতে হয় প্রেসিডেন্সী কলেজকে যখন প্রেসিডেন্সী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করা হয় , তখন কি কলেজ কে বন্ধ করে দেওয়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল? এই রকম একটিশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও তার বিশাল সম্পত্তিকে বলক করে প্রমোটারী করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাই কি এই ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করাহচ্ছে।

ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যে সব ছাত্র আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিখ্যাত হয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন বিখ্যাত সুফি সাধক ও সমন্বয়বাদী ব্যক্তিত্ব দাদাহুজুর পীর মওলানা আবু বক্কর সিদ্দিকী ( রহঃ)। তিনি এশিয়া মহাদেশের অন্যতম বিশিষ্ট চিন্তাবিদ, বিচারপতি ও বহুগ্রন্থ প্রণেতা মুসলিম নবজাগরণের অগ্রনায়ক স্যার সৈয়দ আমীর আলি , মওলানা গোলাম সালমানী (রহঃ) আব্বাসী, বাংলাদেশের দুই প্রধান পন্থী প্রয়াত তাজউদ্দীন আহমেদ, ও শাহ্‌ আজিজুররহমান, বিশিষ্ট সাহিত্য লেখক মনিরুজ্জুমান ইসলামআবাদী, বিজ্ঞানী আতাউর রহমান,বিখ্যাত ইতিহাসবিদ ডঃ এ বি এম হাবিবুল্লাহ তালমিজুল আকবর , দেওয়ান ওসমান গনিপ্রমুখ। বাংলার এই গৌরবময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এখন সংকট কাল। বলা যেতে পারে একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানের অপমৃত্যু। আয মুসলিম সমাজের অর্থলিপ্সু ও সরকারী পেটোয়ারা কেন বোবা? অবশ্য সংরক্ষণ মঞ্চকিছু সংগঠনকে নিয়ে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। জানিনা তারা সফল হবে কিনা। তবে সফল হোক বা না হোক  , আমি একবার সরকারী মাদ্রাসা নিয়ে কথা পেড়েছিলাম । আমাকে এক জন অফিসার বলেছিলেন , দাদা হুগলী মাদ্রাসা অবশ্যই একটি ঐতিহাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আমরা দেখলাম যারাহুগলী মাদ্রসার জন্য মায়াকান্না তাদের ছেলে-মেয়েরা তো কেউ এই রকম একটি ঐতিহ্যবাহী সরকারী প্রতিষ্ঠানে পড়ে না। । কথাটা নেহাতই অমূলক নয়। একবার কোলকাতা পার্ক সার্কাস এলাকারকোন একটি জায়গায় হুগলী মাদ্রাসা নিয়ে সভা হচ্ছে। সেখানে যারা এসেছেন তাদের সবার ছেলে-মেয়েদের সাউথ পয়েন্ট  ডনবস্কো , বালিগঞ্জ শিক্ষাসদন, লরেট কিন্ডারগার্ডেন , হেয়ার স্কুল, রামকৃষ্ণ মিশন , বালিগঞ্জ মডার্নে পড়াশোনা করে। আর এরাই আবার হুগলী মাদ্রাসা নিয়ে কুম্ভীরাশ্রু বর্ষণ করে সভা ডেকে। এ কোন দ্বিচারিতা। ওই দ্বিচারিতা যারা করে তারাই আবার পশ্চিমবঙ্গ মুসলিমসমাজের ‘নয়া অবতার হিসাবে নিজেদের ভাবে । সরকার পর্যায়ে যদি বলা হয়ছাত্র-ছাত্রী আসছে না। তাহলে ভুল কোথায় অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, অনেক মুসলিমসংগঠনের প্রকাশ্য সমাবেশে আমেরিকাকে তুলোধোনা করে । আবার তারাই গোপনে রাতের বেলায় কলকাতার মার্কিন সেন্টার ও আমেরিকান কনসালজেনারেলের অফিসে গিরা তাদেরই টাকায় আমেরিকা যাওয়ার পাকা ব্যবস্থা করে ফেলে। পশ্চিমবঙ্গের অনেক মুসলিম নেতাই আমেরিকার পয়সায় আমেরিকা সফর করেছেন। সেখানে ভয়েস অফ আমেরিকার অনুষ্ঠানে নির্বিঘ্নে বলেছে , আমেরিকার মুসলিমরা ভালআছে। আমেরিকা মুসলিমদের শত্রু নয়। কলকাতার নিউমার্কেট এলাকার সদর স্ট্রিটের কোন এক হোটেলে কলকাতার আমেরিকানসেন্টার সভাও করেছে। মুসলিম নেতাদের নিয়ে। মুসলিমদের একাংশের আমেরিকার বিরোধিতা আর মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে কুম্ভীরাশ্রুবর্ষণ করা ঠিক একই। আমি মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে চোখের জল ফেলার , আবার নিজেরছেলে-মেয়েদের উন্নত মানের  আধুনিক স্কুলেপড়ার – এটা কেমন করে হয়? আবার কিদোয়াই কমিটি যখন মাদ্রাসা শিক্ষার কৃৎ-কৌশলগত উন্নত করার সুপারিশ করে তখন ‘গেল গেল’ রব তোলা হয় কেন? এটাও তো একধরণের দ্বিচারিতা। একধরণের মোনাফেক গিরি । তবে সরকার যদি হুগলী মাদ্রাসা কেকোনও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বা আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ধাঁচে কিছু করে সংখ্যালঘু স্ট্যাটাস রেখে তাহলে ভাল কথা । অভিনন্দন যোগ্য । নইলে একটি প্রতিষ্ঠানের ইতিহাসকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া মানে ইতিহাসকে অপমান করা হয়।  আবার একথাও সত্য যে পশ্চিমবাংলায় মুসলিমদের মধ্যে মিশন কেন্দ্রিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ার সুবাদে আধুনিক শিক্ষার বাড়ছে সেখানে মাদ্রাসা সিখানিয়ে আর সেরকম মোহ নেই। আবার মুসলিম সমাজের স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী আবুল কালাম আজাদের পথ ধরেঐতিহ্যগত কারণে মাদ্রাসা শিক্ষা যদি টিকেও থাকে তাতেও মাতা ব্যথা নেই। মুসলিম মিশন কেন্দ্রিক শিক্ষা প্রতিস্থানে আধুনিক শিক্ষার প্রসারের পাশাপাশি ধর্মশিক্ষারও চর্চা রয়েছে । তাই এখন মুসলিম সমাজের কাছে মাদ্রাসা শিক্ষার দিকে মনোযোগ অনেক -অনেকটাই ঐতিহ্যগত কারণে। সরকারী মাদ্রাসার পঠন-পাঠনে কিদোয়াই কমিটির সুপারিশ অনুসারে অনেক আধুনিক মূখী করা হয়েছে। হাইমাদ্রাসা পাশ করার পর একজন ছাত্র অনায়াসে জেনারেল লাইনে এসে একাদশ বা উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তিও হতে পারবে। আর বেসরকারি বা খারিজি মাদ্রাসা গুল পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সিলেবাস কে অনুসরণ করে । আজকাল খারিজি মাদ্রাসা গুলোতেও মৌলভী, মওলানা ,কারী, মুফতি ডিগ্রীর পাশাপাশি সেখানেও কম্পিউটার পড়ানো হয়। টেকনিক্যাল কাজ ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণও সেখনেও দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের খারিজিমাদ্রাসা গুলিতে সান্ত্রাসী প্রশিক্ষণ হয় – এই অভিযোগ কোন মতেই সত্য নয়। তাহলে যারা চালাচ্ছে তাদের কে প্রশ্ন কোন কোন খারিজি মাদ্রাসায় সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ হচ্ছে তার একটা শ্বেততালিকা প্রকাশ করা হয় না কেন? তা আজও ভারত সরকার বা পশ্চিমবঙ্গ সরকার দিতে পারেনি।

Back To Top