বাংলা সিনেমায় ইসলামোফোবিয়া/লাভ জিহাদ
কেন বাংলা সিনেমা দেখা বাদ দিলাম।
একটা সময়ে অনেক বাংলা সিনেমা দেখেছি। কিছু কিছু সিনেমা তো প্রথম দিনে প্রথম শোয়েই দেখেছি। দেব, জিৎ, মিঠুন, প্রসেনজিৎ সবার সিনেমায় দেখেছি। কিন্তু একটা সিনেমা দেখার পর থেকে বাংলা সিনেমার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে গেছে।
২০১৫ সালে বিরসা পরিচালিত ‘শুধু তোমারই জন্য’ সিনেমা দেখার পর থেকেই মূলত বাংলা সিনেমার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে গেছে।
এই সিনেমাতে ‘সোহম’ একজন মুসলিম ছেলের অভিনয় করেছে। একজন ব্রিলিয়ান্ট ছাত্র, গরিব পরিবারের সন্তান, এপর্যন্ত প্রায় ঠিকই ছিল। তারপরে সে কলেজের প্রিন্সিপ্যালের মেয়ের প্রেমে পড়ে, মেয়ে হিন্দু, সে সম্পর্ক মেয়ের বাবাও মেনে নেয়।
কিন্তু এরপরে সিনেমা মোড় নেয় অন্যদিকে। সোহম হিন্দু মেয়েটিকে (শ্রাবন্তী) বলে সে তার সাথে থাকতে পারবে না ধর্মের কারণে এবং তার পরিবারও মেনে নেবে না।
এটা হিন্দুত্ববাদীদের যে লাভ জিহাদ নামক অভিযোগ আছে সেটাকে স্বীকার করে এবং দেখায় হিন্দু পরিবার মুসলিম ছেলের সাথে সম্পর্ক মেনে নিলেও মুসলিম পরিবার মেনে নেবে না। যা বাস্তবে সঠিক নয়।
বাংলা সিনেমার আরোও একটা বিষয় খুব খারাপ লাগে যে, মুসলিম ছেলের কথা বলার স্টাইল সাধারণ বাংলা হলেও মুসলিম ছেলের বাবা মায়ের কথা বলার স্টাইল উর্দু মিশ্রিত বাংলা। এটা কোথা থেকে পায় কে জানে!
আর বাংলার কতজন মুসলিম লোক টুপি পরে! বাংলা সিনেমায় সে ভিলেন হোক বা হিরো/হিরোইনের বাপ সবাই টুপি পরে থাকে। আর ভাই বাংলাতে প্রায় ৩ কোটি মুসলিম, তাদের এক শতাংশ সবসময় টুপি পরে কি না সন্দেহ। তারপরও তাদের টুপি না পরালে মুসলিম মনে হবে না। কেন এরকম!
এরপর আসি, বাংলা সিনেমার কিছু সংলাপের কথায়। আমরা সবাই জানি যে মুসলিমরা আল্লাহকে বিশ্বাস করে এবং কখনোই কোন অবস্থাতেই আল্লাহর সাথে তারা কোন কিছুর তুলনা তো দূরের কথা, মুখেই আনে না। কিন্তু তারপরেও অনেক সিনেমাতে মুসলিম চরিত্র দিয়ে হিরোদের কে আল্লাহর সাথে তুলনা করা হয়েছে। (নাউজুবিল্লাহ)
আপনার হয়তো ‘বাঙালিবাবু’ সিনেমা দেখেছেন, মিঠুনের এই সিনেমায় একদম শেষে যখন বস্তি ভেঙে বিল্ডিং তৈরি করতে আসে, তখন একজন মুসলিম চরিত্রের সংলাপ এরকম ‘আল্লাহকে তো রোজ ডাকি, কিন্তু আজ যেন আল্লাহ নীচে নেমে এসেছে’ (নাউজুবিল্লাহ)।
এসব কারণে বাংলা সিনেমা দেখা বাদ দিয়েছি। আমি একসময়ে বাংলা গান সিনেমা নিয়ে ক্রেজি থাকতাম, এখন হার্ডলি কোন গান শুনি, সিনেমাতো দেখিই না।