ঘরে ফিরে ভীম আর্মি নেতা চন্দ্রশেখর আজাদ এর পাখির চোখ ২০১৯ নির্বাচন

ঘরে ফিরে উষ্ণ অভ্যর্থনার পর ভীম আর্মি নেতা চন্দ্রশেখর আজাদ এর পাখির চোখ ২০১৯ নির্বাচন।

গত শুক্রবার ভীম আর্মির প্রতিষ্ঠাতা চন্দ্রশেখর আজাদ সাহারানপুর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আজাদের পরিবার ও তার অনুগামীরা কয়েক মাইল হেটে যায় তাকে স্বাগত জানাতে। ৩৮ বছরের এক মহিলা পেহ্লি যে একজন সাধারণ (দিন আনা দিন খাওয়া) শ্রমিক তার গ্রাম খুব্বানপুর থেকে ৬ কিলোমিটার হেটে শনিবার পৈছায় ছুতমালপুর আজাদের সঙ্গে দেখা করতে। সে তার গ্রামের আরও ১১ জন অনুষঙ্গীর সঙ্গে তাদের গ্রাম থেকে যাত্রা করে। তাদের বসবার জন্য জাইগা দেওয়া হয় আজাদের বাড়ির প্রবেশ দ্বারের ডানদিকের ঘরে, যখনই আজাদএর আগমনের ঘোষণা দেওয়ার পর যখন সে বাড়িতে তার প্রথম ধাপ ফেলে তখনই ঐ মহিলা লাফ দিয়ে তার পায়ে পড়ে এবং তাকে জড়িয়ে ধরে।

আজাদের এই ঘরে ফেরা অনেকেই চিন্তায় ফেলেছে। আজাদ বর্তমানে শাসক দল বিজেপির সঙ্গে চ্যালেঞ্জ নিতে চলেছে উত্তর প্রদেশে এবং কেন্দ্রেও। সে শুধুমাত্র তার সংগঠনের সহযোগিতার লড়বে তা নয় সে বিজেপিকে হারাতে জোটের সঙ্গ দিতেও রাজি আছে। গত এক বছরে তার জনপ্রিয়তা আনেকটাই বেড়েছে। মানুষের ভালবাসা এবং প্রত্যাশা রক্ষার যে দায়িত্ব তার চেহারাই ভেসে উঠে। সে অত্যন্ত সাবধানতার সহিত কথা বলে, সচেতন থাকে তার কথা যেন তার সমাজকে কোনরকমের আঘাত না দেয় এবং ২০১৯ নির্বাচনে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎে কোন প্রভাব না ফেলে।

আজাদ বলেছেন “জেলে কি ঘটেছে তার সম্বন্ধে আমি বলতে চাইনা কারন আমি আমার দলের মনোবলকে উচু রাখতে চাই। যে অত্যাচারের আমি সাক্ষী তার সম্বন্ধে যদি আমি বলি তাহলে তাদের শক্তি হ্রাস পেতে পারে। তারা জেলের ভয় মুক্ত হয়ে উঠবে, বাধা থাকা সত্ত্বেও যারা পরিবর্তন আনতে এবং ত্যাগ করতে চায়”।

২০১৯ এর মহাজোটকে সমর্থনের সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেন সে সমস্ত দল বা জোটকে সমর্থন করবে যা বিজেপির হার নিশ্চিত করবে। সে পরিস্কার বিজেপির শাসন পদ্ধতি সম্পর্কে, এবং বিশ্বাস করে যে কোন একক দল একে হারাতে পারবেনা। “তার সাম্প্রদায়িক হিংস্রতা কে কাজে লাগিয়ে জেতে, কিন্তু এটা আমরা কখনও আর হতে দেব না” আজাদ।

ভীম আর্মি পার্টি অফিসের সামনে উচ্ছ্বাসিত জনতার ভিড়।
Back To Top