কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার জেরে উত্তাল বিশ্বের বিভিন্ন দেশ

সাইফুল্লা লস্কর : পুলিশের হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ঘটনায় টানা নবম দিনের মত বিক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্ট্রে, তবে কমেছে সহিংসতা, ওয়াশিংটন ডিসি তে প্রায় ২০০০ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের তরফ থেকে। অন্যদিকে ট্রাম্পের প্রাক্তন প্রতিরক্ষা সচিব এই ঘটনায় ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর প্রতিক্রিয়া মূলক পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছেন।

লস এঞ্জেলেস ও নিউ ইয়র্কে আটক হয়েছে
অর্ধ শতাধিক বিক্ষোভ কারী। তবে সহিংস রূপ নিয়েছে ফ্রান্সের বর্ণ বিরোধী আন্দোলন। বিক্ষোভ হয়েছে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ইজরাইল সহ বিভিন্ন দেশে। কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ
ফ্লয়েডের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপলিস এ বিক্ষোভ এর সূত্রপাত এখন রূপ নিয়েছে বর্ণ বিরোধী আন্দোলনে।
যা এখন ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ফ্রান্সে রাজধানী প্যারিসের রাজপথে নামে প্রায় ২০ হাজার বিক্ষোভকারী। পুলিশের কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপেও শান্ত হয়নি পরিস্থিতি। করোনার ভয় ও সরকারি বিধিনিষেধ এই স্বতস্ফূর্ত আন্দোলনের তীব্রতা থামাতে ব্যর্থ হয়েছে। মার্কিনীদের বিক্ষোভকে সমর্থন জানিয়ে রাস্তায় হাঁটু গেড়ে বসতে দেখা যায় সরকারি পুলিশ কর্মকর্তা দের।

সমাবেশ হয়েছে হোয়াইট হাউসের এর সামনে। ওয়াশিংটন ডিসিতে সেনা মোতায়ন পর অন্য রাজ্য গুলিতেও সেনা মোতায়ন করার কথা ভাবছে ট্রাম্প। এই বিক্ষোভ বর্ণ
বৈষম্য দূর করে দেবে, এ ধারণা ভুল হলেও
অধিকার রক্ষায় সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে
এমনটা বলেন অনেকেই। বিনাদোষে বহু আন্দোলনকারী সাধারণ জনগনকে আটক করে পুলিশ, ছাড় পায়নি সাংবাদিকরাও। কৃষ্ণাঙ্গ বিরোধী এই আন্দোলন কথায় গিয়ে দাঁড়ায় শেষ পর্যন্ত সেটাই এখন দেখার অপেক্ষায় গোটা বিশ্ব। সত্যিই এই বিশ্বব্যাপী আন্দোলন পশ্চিমা দেশ গুলিতে প্রকট বর্ণ বৈষম্য নামক ঘৃন্য সামাজিক অপরাধকে কি মানব সমাজ থেকে বহু দূরে কোনো অজানা জগতে নির্বাসিত করতে পারবে? উত্তরের প্রতীক্ষায় বিশ্ববাসী।

Back To Top