~রানু সরকার
এসেছিল ললনা ভগিনীর বাড়ি,
“ভগিনী অন্তঃসত্বা”
সেলাই করবে কাঁথা, সূচের ফোঁড় তুলছে মনের পরিতোষে।
এক পাশে দেখা যায় তার বাঁকা কলেবর খানি,
আঁখি দুটি প্রশান্ত নম্র, দৃষ্টিতে সূচ দিয়ে করে চলেছে কথায় প্রহত।
ঢেউ খেলা কলেবর খানি দেখে আমি স্তব্ধ,
মাঝে মাঝে যুগল ঠোঁটের বাঁধন খুলে ফুটে উঠেছে সুমধুর হাঁসি।
কি জানি কে তার পাশে, কোথাও বলে চলেছে অনর্গল,
বিনুনিতে তার লাল ফিতের ফুল করা ভ্রমর চঞ্চল করছে আসা-যাওয়া।
অজান্তেই করলো আমায় আহত,
সোহাগ যেন ফুটে উঠেছে তার কলেবর খানিতে।
কে করলো তার হরিদ্রাবর্ন?
পড়নে ছিল নিলাম্বরি শাড়ি ফাঁকে ফাঁকে দেখা যায় তার কলেবর খানি,
“আহা কি অপরূপ”
তাকে দেখে আমি হই আত্মহারা।
ললনা কি পারবে শূন্য হৃদয় পূর্ণ করতে,
ললনাকে অন্তরে ভাস্কর্য করি নানা ভাবে ভেঙে ফেলি আবার গড়ি।
আমার দু বাহুতে আসবে ললনা আঁচল মেলে,
অধরষ্টো খানি খুবই পাষাণ, কবে নেবে আপন করে।