সাইফুল্লা লস্কর : বিশ্ব ক্রিকেটে সর্বকালের সেরা বামহাতি পেস বোলার এবং সুইং এর সুলতান নামে খ্যাত পাকিস্তানি পেসার ওয়াসিম আকরাম জানিয়েছেন তার দেখা বিশ্বের সেরা ৫ টেস্ট ব্যাটসম্যানের কথা। প্রাক্তন পাকিস্তানি ক্রিকেটার বাসিত আলীর ইউটিউব শো এ অতিথি হিসেবে কথা বলার সময় তার দেয়া ৫ জন ব্যাটসম্যানের তাদের সক্ষমতা এবং পারফরম্যান্স অনুসারে সাজাতে বলেন। তিনি তাদের নিম্নরূপে সাজান।
ভিভ রিচার্ডস :
তিনি বলেন “আমি বিশ্ব ক্রিকেটের আশির দশকের মাঝমাঝি থেকে নব্বই এবং ২০০০ পর্যন্ত প্রায় সব কিংবদন্তি ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে বল করেছি কিন্তু তিনি অন্য জাতের ব্যাটসম্যান ছিলেন। টেকনিক, ক্যারিশমা এবং খেলার ওপর সামগ্রিক প্রভাবের দিক থেকে তিনি অনন্য ছিলেন।”
মার্টিন ক্র :
তার তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে আসে নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান মার্টিন ক্র। তিনি বলেন সারা বিশ্বের ব্যাটসম্যানরা যখন রিভার্স সুইং খেলতে হিমসিম খেত তখন তিনি অনায়াস ভঙ্গিমায় ব্যাট করতেন রিভার্স সুইং এর বিরুদ্ধে। তিনি বলেন এক ৩ ম্যাচের সিরিজে ওয়াকার ইউনুস ৩০ টি উইকেট এবং ইনজুরি হওয়ার কারণে আমি দেড় ম্যাচে ১৬ টি উইকেট নিয়েছিলাম নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে কিন্তু সেই সিরিজে মার্টিন ক্র তিনটি সেঞ্চুরি করেন। আমি পরে তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে তিনি কিভাবে খেলেন তাদের দুইজন কে। তিনি বলেছিলেন, “তোমাদের ইনসুইং বল গুলো আমি সামনের পায়ে খেলছিলাম এবং আউটসুইং হওয়া বলগুলো ছেড়ে দিচ্ছিলাম তাই ব্যাটের কানা লাগেনি।”
ব্রায়ান লারা :
ক্রিকেট বিশ্বের রাজপুত্র বলে পরিচিত এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানকে আধুনিক ক্রিকেটের বাদশাহ বলে মনে করেন অনেকে। আকরামের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন তিনি। তিনি বলেন, “লারা কখনো ক্রিজে স্থির হতে থাকতেন না, তাই তাকে বল করা কঠিন ছিল।”
ইনজামাম উল হক :
তিনি তার বিশ্বকাপ জয়ী দলের স্বতীর্থ ইনজামাম উল হককে রাখেন চতুর্থ স্থানে। অনেকে বিশ্বাস করেন পাকিস্তানের সর্বকালের দুইজন সেরা ব্যাটসম্যানের মধ্যে তিনি একজন, তিনি এক সময় বিশ্ব ক্রিকেট বিশ্বে সর্বাধিক রানের মালিক ছিলেন। তবে তিনি বলেন আমি টেস্ট ক্রিকেটে খুব বেশি বল করিনি তার বিরুদ্ধে তাই তার স্থান নির্ধারণ করা মুশকিল।
সচিন তেন্ডুলকর :
বিশ্ব ক্রিকেটে মাস্টার ব্লাস্টার বলে পরিচিত ১০০ সেঞ্চুরির মালিক সচিন তেন্ডুলকর আকরামের তালিকায় পঞ্চম স্থান লাভ করেন। তিনি বলেন, ” আমি আমার বোলিংয়ের সেরা সময়ে টেস্ট ক্রিকেটে সচিনের বিরুদ্ধে বল করিনি কারণ তারা ১৯৮৯ এ একবার পাকিস্তান সফরে আসে তারপর আসে ১৯৯৯ এ।” তিনি শারজায় সচিনের বিরুদ্ধে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বল করেন যেখানে সচিন খুব একটা ভালো খেলতে পারেননি। তবে তিনি বলেন টেস্ট ক্রিকেট অন্য খেলা। যদিও সচিনকে তালিকার শেষে রাখায় অনেকে এই বিষয়ে তার সমালোচনা করেছেন।