ইসরাইলের বিনাশের পূর্বাভাস দিয়ে মিশরে তৈরি মুসলিম বিশ্বের নতুন টিভি সিরিজ ‘দ্যা এন্ড’, তীব্র আপত্তি করলো ইসরাইল

সাইফুল্লা লস্কর : তুরস্কের ঐতিহাসিক সিরিজ দিরিলিস এরতুগ্রুলের বিশ্বব্যাপী ঈর্ষণীয় জনপ্রিয়তার মাঝে মুসলিম বিশ্বে নির্মিত হলো আরো এক টিভি সিরিজ। এটি তৈরি হয়েছে তুরস্কের প্রতিবেশী দেশ মিশরে। কল্পবিজ্ঞানের ওপর তৈরি এই সিরিজটিতে আজ থেকে একশো বছর পর বিশ্বের অবস্থা সম্পর্কে দেখানো হয়েছে।
‘আল নাহায়া’ ( ইংরাজিতে ‘দ্যা এন্ড’) নামের এই  সিরিজটিতে মুসলিম বিশ্বের সব থেকে বড়ো শত্রু ইসরাইলের এক মুসলিম দেশের পারাণবিক বোমার আঘাতে সম্পূর্ণ বিনাশ হওয়ার এবং আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের পতনের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। মুসলমানদের প্রথম কিবলা আল আকসা ইয়াহুদিদের হাত থেকে মুক্ত হতেও দেখানো হয়েছে ছবিটিতে। আর এতেই আপত্তি তুলেছে ইসরাইল।

জেরুজালেম পোস্টের এক খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিদেশমন্ত্রী বলেছে, “এটি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য, দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই সিরিজটি এসেছে এমন একটা দেশ থেকে যাদের সঙ্গে আমাদের ৪১ বছরের পুরনো শান্তিচুক্তি রয়েছে।” সিরিজের এক দৃশ্যে একজন শিক্ষক ছাত্রদের পড়ানোর সময় বলেন, কিভাবে ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনে জমা হয় ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে বিতাড়িত ইয়াহুদিরা এবং আমেরিকা ও যুক্তরাজ্যের সহযোগিতায় ফিলিস্তিনিদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে আত্মপ্রকাশ ঘটে ইসরাইলের। আরো দেখানো হয়েছে অন্তর্দ্বন্দ্বের শিকার হয়ে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রদেশগুলোর পৃথক হয়ে যাওয়ার ঘটনা।

যদিও সিরিজটির নির্মাতা অমর স্বামীর আতেফ বলেছেন, ” এটা আমরা একটা বিনোদনমূলক কল্পবিজ্ঞানের কাহিনী উপস্থাপন করেছি যার অনেক অর্থ এবং সম্ভাবনা আছে।” তিনি আরো বলেন, ” আমরা এটা ইসরাইলের প্রতিক্রিয়ার কথা ভেবে তৈরি করিনি যার ব্যাপারে আমরা আদৌ পরোয়া করিনা।

মুসলিম বিশ্বে এমন ছবি এবং সিরিজের নির্মাণের ফলে বোঝা যাচ্ছে ইসলামের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সভ্যতা এবং সংস্কৃতির বিরুদ্ধে পশ্চিমা অপপ্রচারের জবাব তাদের ভাষায় তাদের পদ্ধতিতে দেয়ার যুগ শুরু হয়েছে। ইসলাম এবং মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে এতদিন মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে হাজারো ছবি এবং সিরিজ তৈরি করা পশ্চিমা বিশ্ব এই সিরিজটিকেও তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে এবং দিরিলিসের মতো ইসলামী বিশ্বের নতুন বোমা বলে মনে করছে। তবে আমেরিকার ঘনিষ্ঠ আল সিসীর আমলে ইসরাইল, পশ্চিমা বিশ্ব এবং ইসরাইল ঘনিষ্ঠ আরব দেশ গুলোর চাপের মুখে এই সিরিজটি শেষ পর্যন্ত মুক্তি পায় কিনা সেটাই এখন দেখার।

Back To Top