ক্যাব (CAB) কী ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের জন্য হুমকিস্বরুপ?

ক্যাব এর বিরুদ্ধে কলকাতার রাজপথে মিছিল

ক্যাব (CAB) কেন ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের জন্য হুমকিস্বরুপ?

সম্প্রতি ভারতে পাশ হল সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডেন্ট বিল বা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, যে বিলের ক্ষমতাবলে প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা সংখ্যালঘু নাগরিকদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এই বিলের দ্বারা পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আশা হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পারসি ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে যা ভারতের সংবিধান এর ১৪ নম্বর ধারার বিরোধী।

নাগরিক সংশোধনী বিল কী?

CAB (ক্যাব) ২০১৬ সালের জুলাই মাসের অধিবেশনে প্রথম সংসদে উপস্থাপন করা হয়। এই বিল ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের সংশোধন করে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রদানের দেওয়া কথা বলে।

২০১৬ সালে সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভাতে পাশ হলে রাজ্যসভাতে পাশ করাতে পারেনি হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার।

সদ্য পাশ হওয়া এই নাগরিকত্ব আইনে আরো বলা হয়েছে যে ভারতে স্থায়ী নাগরিকত্বের আবেদনের জন্য শেষ ১ বছরে ভারতে স্থায়ী ভাবে থাকতে হবে এবং মোট ৬ বছর ভারতে থাকতে হবে তবেই তারা নাগরিকত্বের  আবেদন করতে পারবে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাব এর বিরুদ্ধে আন্দোলন

এই বিলের বিরুদ্ধে আসাম কেন জ্বলছে?

এই বিল ১৯৮৫ সালের আসাম অ্যাকর্ড এর পরিপন্থি। ১৯৮৫ সালের আসাম অ্যাকর্ড অনুযায়ী  ২৪ মার্চ ১৯৭১ সালের পরে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশীদের জাতিধর্ম নির্বিশেষে ভারত থেকে বের করে দেওয়া হবে।

সদ্য পাশ হওয়া এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ নির্ধারণ করেছে। এর ফলে এই বিলের সুবিধা নিতে বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার হিন্দুরা ভিড় করবে।

এই বিল বৈষম্যমূলক

এই বিল নিয়ে সব থেকে বড় বিতর্ক এই বিল ভারতীয় সংবিধানের ১৪ নম্বর আর্টিকেলের পরিপন্থী। সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলের সমঅধিকার পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু এই বিল মুসলিমদের বাদ দিয়ে হওয়ায় সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারাকে মূলত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েছে।

Back To Top