ইন্টারনেট এর দুনিয়ায় সামাজিক মাধ্যম জিনিসটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনেক আগেই। সস্তা ইন্টারনেট এবং বাজারে সহজলভ্য আন্ড্রয়েড ফোনের সুবাদে ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে ইন্টারনেট নামক বস্তুটি। যোগাযোগের মাধ্যম বলতে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপই বোঝে এখন মানুষ। আর সেটাকে কাজে লাগিয়েই নিজেদের অবসর সময় কাটাতেই যাত্রা শুরু হয়েছিল ‘আমাদের মুর্শিদাবাদ’ নামক ফেসবুক পেজের যাত্রা।
২০১৭ সালের আগস্টে যাত্রা শুরু হয়ে ‘আমাদের মুর্শিদাবাদ’ পেজের ফলোয়ার সংখ্যা ইতিমধ্যেই দেড় লাখ ছাড়িয়েছে। প্রত্যেক মাসে পোস্ট রিচ হয় প্রায় ৫০ লাখের কাছাকাছি। দিনকালের পক্ষ থেকে ‘আমাদের মুর্শিদাবাদ’ পেজের অ্যাডমিনদের সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাওয়া হয় পেজের ইতিহাস ও কর্মকাণ্ড সম্বন্ধে।
জঙ্গিপুর নিবাসী এই দুই বন্ধু মিলেই পেজের মাধ্যমে মুর্শিদাবাদের সংস্কৃতি থেকে ইতিহাসম খবরাখবর তুলে ধরে নিয়মিত।
মুর্শিদাবাদ হচ্ছে একটি ঐতিহাসিক জেলা। মুর্শিদাবাদের আনাচে কানাচে ইতিহাস ছড়িয়ে আছে। আমরা চাই ‘আমাদের মুর্শিদাবাদ’ পেজের মাধ্যমে আমাদের এই ঐতিহাসিক জেলার ইতিহাসকে সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে।
মুর্শিদাবাদ জেলার শহর থেকে গ্রামের খবরের জন্য নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠেছে এই পেজ।
অ্যাডমিনরা আরো জানান যে বিভিন্ন জায়গা থেকে ‘আমাদের মুর্শিদাবাদ’ পেজ এর ফলোয়াররা খবর পাঠিয়ে থাকেন। তারপর সেগুলো আমাদের নিজেদের সোর্স দিয়ে ভেরিফাই করার পরে প্রকাশ করি।
শুধু খবরেই সীমাবদ্ধ নয়, ইতিমধ্যেই ‘আমাদের মুর্শিদাবাদ’ পেজ এর পরিচালকদের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে জেলার সবথেকে বড় ব্লাড ডোনারদের তালিকা। জেলার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে অসুস্থ মানুষের প্রয়োজনে তৈরি করেছে ‘এ.এম. ব্লাড ব্যংক। রাজা শেখ জানান, প্রতিদিনিই কোথাও না কোথাও আমাদের রক্তদাতারা রক্ত দিতে পৌঁছে যান।
তাদের ইচ্ছা ‘আমাদের মুর্শিদাবাদ’ পেজটিকে নিরপেক্ষভাবে চালিয়ে জেলাবাসীর মন জয় করা এবং সারা রাজ্য সহ সারা বিশ্বের বাঙালির কাছে এই জেলার গৌরব তুলে ধরা।
অ্যাডমিনগণ তাদের পরিচয় প্রকাশ করতে না চাওয়ায় নাম দেওয়া হলনা।