অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্তের দাবী নানা পাটেকারকে লাই ডিটেক্টরের সামনে বসানোর…

অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত শনিবার নানা পাটেকারকে লাই ডিটেক্টরের সামনে বসানোর দাবি জানালেন। ইতিমধ্যেই নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে ভারতবর্ষে #মিটু আন্দোলনের সূচনা করে দিয়েছেন তিনি।

শনিবার মুম্বাইয়ের ওশিওয়ারা থানায় তনুশ্রী দত্তের আইনজীবী নীতিন সাতপুতে একটি আবেদন জমা দিয়েছেন। আবেদনে জানিয়েছেন, অভিনেতা নানা পাটেকার, কোরিওগ্রাফার গণেশ আচার্য, প্রযোজক সামি সিদ্দিকী এবং পরিচালক রাকেশ সারংকে নারকো বিশ্লেষণ, মস্তিষ্কের মানচিত্র ও লাই ডিটেক্টর টেস্টের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে থানায়।

নানা পাটেকার

10 বছর আগে হিন্দি চলচ্চিত্র ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ এর একটি বিশেষ গান শুটিংয়ের সময় 67 বছর বয়সী নানা পাটেকর অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্তের সাথে আপত্তিজনক ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে ওশিওয়ারা থানা নানা পাটেকার ও অন্যান্য তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।

তনুশ্রীর আইনজীবী নীতিন সাতপুতে বলেন, অভিযুক্তরা “অত্যন্ত প্রভাবশালী এবং উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন” ব্যক্তি এবং তাঁদের রাজনৈতিক সংযোগও ভালো, তাই, সাক্ষীদের উপর “চাপ, ভয়, জোর এবং প্রভাব” খাটাতে পারেন তাঁরা।

তিনি দাবি করেন যে 26 শে মার্চ, 2008 তারিখে সংঘটিত এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিল, কিন্তু অভিযুক্তের ভয়ে তাঁরা তাদের বয়ান দিতে এগিয়ে আসছে না। তিনি জানান, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের পরই সাক্ষীরা তাদের বক্তব্য রেকর্ড করতে এগিয়ে আসবেন। সাতপুতে বলেন, তনুশ্রী দত্ত মহারাষ্ট্র স্টেট কমিশন ফর উওম্যান এবং ডেপুটি কালেক্টরের কাছেও বিচারের আবেদন জানিয়েছেন। যদিও নানা পাটেকার অনুশ্রী দত্তের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

 

তানুস্রী দত্ত

শনিবার মুম্বাইয়ে সাংবাদিকদের নানা বলেন, “আমি এই কথা দশ বছর আগেও বলেছি … একটি মিথ্যা সবসময়েই একটি মিথ্যাই।” সিনে ও টিভি শিল্পী সমিতির কাছ থেকে সহায়তা পেয়েছেন তনুশ্রী।

সমিতির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক অমিত বেহল শনিবার বলেন, “আমরা মেনে নিচ্ছি যে 2008 সালে তনুশ্রী দত্তের অভিযোগ সঠিকভাবে গৃহীত হয়নি। আমরা জানি না কেন সমিতি অভিযোগটি কেন কেবল আর্থিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখল এবং কেন যৌন হয়রানির অভিযোগটি বিবেচিত হল না !”

 

 

(এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)

Back To Top