পণের টাকা না পাওয়ায় স্ত্রীকে পিটিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করল স্বামী ও পরিবারের লোকজন

দিনকাল ডেস্কঃকয়েক মাস আগে বিয়ে হয়, তখন ছিল না পনের দাবি। বিয়ের কয়েকদিন পর থেকে নতুন গৃহবধুকে নানান ভাবে অত্যাচার করতে থাকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। বাপের বাড়িতে টাকা আনার জন্য। শেষে পিটিয়ে তারপর গলায় দড়ি দিয়ে খুন করে গৃহবধুকে। মৃত গৃহবধূ জাসমিনা বিবি (২০)। ঘটনাটি ঘটে মথুরাপুর থানার তেঁতুল বেড়িয়া গ্রামে।

স্থানীয় ও মৃতের বাপের বাড়ির লোকজনের সূত্রে জানা যায়, দেড় মাস আগে বকুলতলা থানার বাইশ হাটা গ্রামের জাসমিনা মন্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় সায়েনশা গাজির সঙ্গে। সায়েনশা পেশায় ক্ষুদ্র ব্যাবসায়িক। বিয়ের সময় কোন পনের দাবি ছিল। বিয়ের কয়েকদিন পর থেকে গৃহবধূ জাসমিনার উপর চাপ দিতে থাকে তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন। যাতে বাপের বাড়ি থেকে তাদের কথা মতো টাকা ও জিনিস পত্র নিয়ে আসে। দিনের পর দিন অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে। শেষে গতকাল বাপের বাড়ি ভোট দিতে যাওয়ার কথা ছিল। সেই মতো প্রস্তুত হয়েছিল জাসমিনা। শেষ পর্যন্ত আর বাপের বাড়িতে যাওয়া হল না। যাওয়ার সময় অশান্তি শুরু হয়। অশান্তি থেকে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন প্রথমে পিটিয়ে মারে পরে গলায় দড়ি দিয়ে খুন করে। যাতে প্রমান হয় ও নিজে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করছে। এদিন জাসমিনার বাবা আসছিল মেয়ের বাড়িতে। আসার পথে রাস্তায় খবর পায় মেয়ে মারা গিয়েছে। বাড়িতে আসতে বলে মেয়ে অসুস্থ তাকে মথুরাপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে দেখে মেয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
ঘটনার পর শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। স্থানীয় ও মেয়ের বাড়ির লোকজন মথুরাপুর হাসপাতালের সামনে পথ অবরোধ করে দোষীদের গ্রেফতার এর দাবিতে, এক ঘন্টা পর পুলিশ এসে গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। পরে মৃতার স্বামী সায়েনশা গাজিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন খুনের মামলা রুজু করেছে। ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে তদন্তও হয়।

Back To Top