তিন হাজার কোটি টাকা দিয়ে মূর্তি না বানিয়ে কি কি করা যেত!

যে দেশে অর্ধেকের বেশি মানুষ দিনে দু-বেলা অন্ন জোটাতে ব্যর্থ। সে দেশে এক ব্যক্তির মূর্তির জন্য 3000 কোটি টাকা ব্যয় করা বিলাসিতা ছাড়া অন্য কিছু নয়। শুধু কি তাই! এটা তো  ঔদ্ধত্যের প্রকাশও !

মূর্তি হতেই পারে। এরকম হাজার হাজার মূর্তি আছে। পরেও হবে। তাই বলে 3000 হাজার কোটি টাকার একটি মূর্তি !! ১৮২ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট এই মূর্তিটি নিউইয়র্কের স্ট্যাচু অব লিবার্টির দ্বিগুণ উঁচু। খরচের দিকে লিবার্টির কয়েকশো গুন বেশি। 

এখন প্রশ্ন — এই 3000 কোটি টাকা ব্যয়ে মূর্তি না বানিয়ে যদি জনকল্যাণের কাজে লাগানো যেত তাহলে কি কি কাজ হতো?

1. প্রায় ৪০,১৯২ হেক্টর জমিতে সেচের কাজ করা যেত। ১৬২টি ছোট সেচ প্রকল্প মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ করা যেত এই টাকায়। ৪২৫টি ছোট বাঁধ তৈরি করা যেতে পারত এই টাকা দিয়েই।

অথবা,
2. দু’টি নতুন আইআইটি ক্যাম্পাস তৈরি করা যেত। একটা আইআইটি তৈরির খরচ প্রায় ১১৬৭ কোটি টাকা।

অথবা,
3. তৈরি করা যেতে পারত দু’টি অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সের (এইমস) ক্যাম্পাস। একটি এইমস তৈরির খরচ প্রায় ১১০৩ কোটি টাকা।

অথবা,
4. পাঁচটি নতুন আইআইএম ক্যাম্পাস তৈরি করা যেত এই টাকায়। একটি আইআইএম ক্যাম্পাস তৈরির খরচ প্রায় ৫৩৯ কোটি টাকা।

অথবা,
5. ৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচটি নতুন সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করা যেত এই টাকা দিয়ে। যেখানে একটি তৈরিতে খরচ প্রায় ৫২৮ কোটি টাকা।

অথবা,
6. ছয়টি মঙ্গল অভিযানের খরচের সমতুল এই মূর্তি তৈরির খরচ। একটি অভিযানের খরচ প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর অধীনে তিনটি চন্দ্রাভিযানও করা যেত এই মূর্তি তৈরির টাকায়। একটি অভিযানের খরচ মোটামুটি ৮০০ কোটি টাকা। 

 

আপনাদের কি মনে হয়? আর কি কি করা যেত ৩০০০ কোটি টাকা দিয়ে। কমেন্ট করে জানান আমাদের। সুযোগ পান আমাদের ওয়েবসাইটের ফিচারে আসার। 

সূত্রঃ TheWire.in

 

 

Back To Top