ডাঃ কাফিল খান সম্পূর্ণ নির্দোষঃ সিবিআই

Dr-Kafeel-Khan-1.jpg

নিজস্ব প্রতিবেদন, ডাঃ কাফিল খান সম্পূর্ন নির্দোষ। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রমাণ নেই স্পষ্ট জানাল সিবিআই। প্রসঙ্গত, গোরক্ষপুর বাবা রাঘবদাস মেডিক্যাল কলেজে শিশু-বিভাগে অক্সিজেন সরবরাহকারী সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে পেমেন্ট না পাওয়ায় অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে ওই সংস্থা।

অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু মুখে পতিত হয় বহু শিশু। শিশুদের মারা যেতে দেখে ডাঃ কাফিল খান নিজের উদ্যোগে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করে  বাঁচিয়েছিলেন অনেক শিশুর প্রাণ। ডাঃ কাফিল খানের এই কাজে সারা ভারত যখন প্রশংসায় পঞ্চমুখ, তখনই নেমে আসে বিপদের খাঁড়া। উত্তরপ্রদেশের হিন্সুত্ববাদী বিজেপির সরকার গাফিলতির অভিযোগ আনে কাফিলের বিরুদ্ধে। কাফিল কে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সমস্ত ঘটনার দায় চাপিয়ে জেলে ঢোকায় যোগী।
আজ অতিক্রান্ত হয়েছে প্রায় আড়াই বছর। এর আগে ৯ মাস জেল খাটতে হয়েছে তাঁকে। ডাঃ কাফিল খান বরাবরই দাবি করে এসেছেন তিনি নির্দোষ। নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিও করতেন। এমনকী সিবিআই তদন্তের দাবি করেছিলেন কাফিল। অবশেষে তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করল সিবিআই। সিবিআই অফিসার হিমাংশু কুমারের ১৫ পাতার রিপোর্ট জানিয়ে দিল, কাফিলের বিরুদ্ধে ওঠা চারটি অভিযোগের একটিও প্রমাণিত হয়নি। সঙ্গে ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, কাফিল খান তাঁর কর্তব্যে গাফিলতি তো করেনি। এবং ঘটনার দিন অর্থাৎ ১০ অগাস্ট রাতে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে তিনি নিজের উদ্যোগে পরিস্থিতি সামাল দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। ২০১৬ সালের অগাস্ট মাসের পর থেকে প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ করেছেন কাফিল এমন কথাও উল্লেখ্য করেছে সিবিআই। তিনি সরকারি হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় অন্য কোথাও প্র্যাকটিস করেননি।সিবিআই অফিসার হিমাংশু কুমারের ওই রিপোর্ট বলছে, যে কারণে কাফিল খানকে দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছিল বিরুদ্ধে, তার কোনও তথ্য-প্রমাণ মেলেনি।

নির্দোষ প্রমানিত হওয়ার পরেই ডাঃ কাফিল খান জানান, “তিনি নির্দোষ ছিলেন এবং একদিন সেটা প্রমাণ হবে বলেই বিশ্বাস করতেন। এই ঘটনার পরে ডাঃ কাফিল খানের ভাইয়ের উপরেও আক্রমণ হয়েছিল। তার বিচার দাবী করেছেন তিনি। সেইসাথে তিনি তার সমস্ত বকেয়া মেটানোর দাবী করেছেন সরকারের কাছে।”

 

Back To Top