~ ফারুক আহমেদ
নাফার চোখের দিকে তাকাও,
অফুরন্ত সৃষ্টি খেলা করে ও-চোখে।
ওকে মেরো না, ওকে বাঁচতে দাও
ওর কাছ থেকে চেয়ে নাও
মিত্রতা-ভালবাসা-মনুষ্যত্ব-মানুষ…
অবাঞ্ছিত ভেবে ঘৃণা করো না।
জেনো অবাঞ্ছিত শুঁয়োপোকারাও প্রজাপতির তির হয়।
তাঁর চোখ আর কায়া-মনের জন্ম হয়েছিল শ্রাবণ মাসের রবীন্দ্র প্রয়াত ক্ষণে।
নাফার প্রেমেই হয়েছি দেশপ্রেমিক।
রাস্তায় পড়ে থাকা কলার খোসা, ইট
ছোটোখাটো আপদ-বিপদ
পাথরের টুকরো, সরিয়ে সরিয়ে
নিরাপদ জায়গায় রাখি।
হৃদয় কাঁপানো দেশপ্রেমিক হতে পারিনি।
রাতের মূল্যবান তারার আকাশে
হতে পারিনি অনামি কোনও এক তারাও —
তবুও আকাশ দেখি।
ফেটে পড়ার প্রতীক্ষায় অপ্রকাশিত উপন্যাস।
ভাবনার ক্যানভাস জুড়ে
ফুটে ওঠে এ কোন ছবি, কার ছবি?
বেলা অবেলায় এ কোন আত্মশুদ্ধি?
কবি ফারুক আহমেদ ‘উদার আকাশ’ নামক একটি পত্রিকার সম্পাদক।