মোহাম্মদ সাদউদ্দিন
সাম্য, শান্তি , ভ্রাতৃবিরোধ হল ইসলামের প্রধান বৈশিষ্ট্য। ইসলাম শুধুমাত্র একটি ধর্মই নয়। একটি জীবনবোধ ও জীবনবিধি। ইংরেজিতে বলা হয় “Islam is a complete code of life”. আরো বলা যায় ইসলাম একটি আদর্শ ও দর্শন। এই আদর্শের উপর ভিত্তি করে ইসলাম তৌহিদ, রিসালা ও মুসাওয়াতকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়। ফলে ইসলামে নারীর সমানাধিকার বিশেষভাবে গুরুত্ব পায়। অনেক প্রগতিশীল মুসলিম ও অমুসলিম সম্পত্তির অধিকারের বৈষম্য নিয়ে ইসলামকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান। কিন্তু প্রগতিশীলরা এটাকে খাড়া করলেও তার দায় ভার ইসলামের উপর বর্তায় না। বরং তার অপপ্রয়োগকে দায়ী করা যায়। ইসলামী উত্তরাধিকার আইন সঠিকভাবে প্রয়োগ যারা করে না বা বাস্তবায়িত করেন না তার জন্য ইসলামকে কীভাবে দায়ি করা যায়? আমাদের মনে রাখতে হবে যে, ইসলামই প্রথম মানুষকে শিখিয়েছে যে,নারী ও পুরুষ এক হয়ে সৃষ্টি হয়েছে এবং সব ক্ষেত্রেই সম সুযোগ দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআন শরীফে বলা হয়েছে যে “প্রতিটি আত্মাকে তার কাজের জন্য জবাবদিহি করতে হবে” (আল কোরআন 74:38)। আবার অন্যত্র বলা হয়েছে “তাই তাদের প্রভু তাদের প্রার্থনা গ্রহণ করেছেন,( এই বলে): তুমি নারী বা পুরুষ যেই হও,আমি তোমাদের কারো কাজ অবহেলা করব না। তোমরা একের থেকে অন্য হয়ে অগ্রসর হচ্ছো (আল কোরান 3:195)। সমানাধিকারের ব্যাপারে আরো বলা হয়েছে, “যে ন্যায়নীতিপরায়ণ নারী বা পুরুষ, এবং ধার্মিক, আমরা তাকে ভালো এবং পবিত্র নতুন জীবন দেব এবং তাদের কর্ম অনুযায়ী পুরস্কার দেওয়া হবে”( আল কোরান 16:97, 4:124)। তাই ইসলাম নারী ও পুরুষের মধ্যে আর্থিক লেনদেন, সম্পত্তির অধিকার ও প্রতিটি ক্ষেত্রে সাম্য বা সমতা নিশ্চিত করেছে।