বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী কবির সুমন কে ডি লিট দিল কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয়

দিনকাল ডেস্কঃ সুমন চট্টোপাধ্যায় ওরফে কবীর সুমন। বাংলার আধুনিক গানের ত্রাতা, কবি, সাহিত্যিক, সুরকার, লিপিকার, প্রাবন্ধিক এবং অবশ্যই রাজনৈতিক চরিত্র।

এবার এই মহান ব্যক্তির সাথে যোগ হল আরেকটি পালক। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় সাম্মানিক ডি লিট প্রদান করল এই সঙ্গীত শিল্পী কে। কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি লিট হয়তো আজ নিজেই সম্মানিত হল এই স্বার্থহীন শিল্পীর হাতে উঠতে পেরে। গত বৃহস্পতিবার ১লা নভেম্বর কল্যনী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯ তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সাম্মানিক ডি লিট তুলে দেওয়া হয় এই শিল্পীর হাতে।

রাজ্যের রাজ্যপাল ও কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর কেশরীনাথ ত্রিপেঠী কবীর সুমনের হাতের সাম্মানিক ডি লিট তুলে দেন।

বাংলার মেইনস্ট্রিম মিডিয়া বার বার তাকে হেয় করলেও তিনি তার নিজের প্রতিভার বলে বলীয়ান হয়ে গেছেন। মুখ বন্ধ করেছেন নিন্দুকদের।

কবীর সুমন যে কত ব্যতিক্রমী চরিত্র সেটা বোঝা যেত নিন্দুকদের আক্রমণে, তিনি মুখ খুললেই রে রে করে তেড়ে আসে তথাকথিত প্রগতিশীল, বুদ্ধিজীবিরা।

একজন শিল্পীর কতটা স্বাধীনতা থাকা উচিত সেটা নিয়ে বার বার মাথা ঘামিয়েছে এরা।

কবীর সুমনের হাতে ডি লিট তুলে দিচ্ছেন কেশরীনাথ ত্রিপাঠী

৯০ দশকের সেই নতুন প্রেমিক হোক বা সদ্য প্রেমিকার ছেড়ে যাওয়া সবার মনের কথা প্রকাশ করেছেন তিনি। শুধু তাই নয় তার সেই গান আজ পর্যন্ত অমলিন এবং ততটাই জনপ্রিয় তখন যেমন ছিল।

এখন ইউটিউবের জামানায় এসে গান শোনার ধরণ হয়তো বদলে গেছে কিন্তু কবীর সুমনের গান যেমন ছিল ঠিক তেমন ভাবেই লোকে ভালোবেসে চলেছে। তার হাতে বাংলা গান পেয়েছে নতুন জীবন।

‘তোমাকে চাই’ বা ‘পাগল’ গানের সেই কথা আজও প্রাণ ছুয়ে যায়। এখন পর্যন্ত প্রেমিকদের খোরাক হয়ে চলেছে।

জাতীয় পুরষ্কার, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের ‘সঙ্গীত মহাসম্মান’ পুরষ্কার এছাড়া বিভিন্ন সংস্থার নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। যদি তিনি অন্যদের মত নিজের মুখ টা কে একটি বন্ধ রাখতে পারতেন তাহলে হয়তো আরও কয়েকটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের সম্মানে ভূষিত হতেন কিন্তু তিনি সবসময়েই মানবিকতাকে আগে রেখেছেন। তার মাসুল একদিকে দিলেও পেয়েছেন অগণিত মানুষের ভালোবাসা। সেটাই হয়তো তার সব থেকে বড় সম্মান।

~শুভো

ছবিঃ এখান থেকে সংগৃহীত

Back To Top