বিধানসভা নির্বাচন নয়, ২০১৯ নির্বাচনের সেমিফাইনাল লড়াই

দিনকাল ডেস্কঃ সকাল থেকে উত্তেজিত গোটা মিডিয়া জগৎ। শুধু একটাই ইস্যু। সেটি হচ্ছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনী ফলাফল। সবার মুখেই একই কথা, এটা শুধু পাঁচটি রাজ্যের নির্বাচন নয়, ২০১৯ নির্বাচনের সেমিফাইনালের লড়াই। এটার উপরেই নির্ভর করবে ভারতের ভবিষ্যৎ কেন্দ্রের সরকার গঠনের ।
মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, মিজোরাম, ছত্তিসগড়, তেলেঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল। তেলেঙ্গানা টি.আর.এস নিজের দখলে রেখেছে ১১৯ টি আসনের মধ্যে ৮৭ টি আসনে এগিয়ে থাকার মাধ্যমে। সেখানে কংগ্রেস পেয়েছে ২১ টি আসন এবং বিজেপি পেয়েছে ২ টি আসন। যেখানে বিজেপির কিছুক্ষণ আগে ছিল ‘০’। কোনক্রমে শূন্যের কোটা পেরিয়েছে কেন্দ্রে শাসনাধীন দল।

মিজোরাম রাজ্যে কংগ্রেসকে বিদায় দিয়েছে সে রাজ্যের মানুষ। বেছে নিয়েছে এম.এন.এফ-কে। এম.এন.এফ ৪০ টি আসনের মধ্যে ২৪ টি আসন নিয়ে সরকার গঠনের জন্য এগিয়ে রয়েছে। যেখানে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ছিল ২১ টি আসন। কংগ্রেস পেয়েছে ৬ টি আসন এবং বিজেপি পেয়েছে ১ টি আসন। এখানেও বিজেপির অবস্থা শোচনীয়। অন্যান্যরা পেয়েছে ৯ টি আসন।

ছত্তিসগড় রাজ্য, যেখানে ক্ষমতায় ছিল বিজেপি। সেখানে ৯০ টি আসনের মধ্যে ৬৬ টি আসনে সরকার গঠনের জন্য এগিয়ে কংগ্রেস দল। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ছিল ৪৬ টি আসন। বিজেপি পেয়েছে ১৫ টি আসন এবং জনতা কংগ্রেস ছত্তিশগড় পেয়েছে ৫ টি, বি.এস.পি পেয়েছে ৩ টি।

রাজস্থানেও বিজেপি সরকারের পত্তন ঘটিয়ে বড় জিত হাসিল করতে সফল কংগ্রেস। সেখানে কংগ্রেস ১০১ টি আসনে এগিয়ে সরকার গঠনের রাস্তা পাকা করে ফেলেছে। বিজেপি পেয়েছে মাত্র ৭২ টি আসন। বি.এস.পি পেয়েছে ৫ এবং অন্যান্য ২১ টি।  

সবথেকে বড় নজর কেড়েছে সকাল থেকেই মধ্যপ্রদেশ। সেখানে বিজেপি এবং কংগ্রেসের চলেছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই যা এখনও ঝুলে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ১১৫ টি আসন নিয়ে এগিয়ে কংগ্রেস পার্টি। বিজেপি রয়েছে ১০৭ এ। বি.এস.পি ৪ টি ও অন্যান্য ৫ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। এখনও চলছে…

বিভিন্ন সূত্রে খবর, সবমিলিয়ে দেশের জনসাধারণের কাছে মনে হচ্ছে কংগ্রেসের এই বিপুল বহুমতে বিজয় অনেকটা স্বস্তি এনে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন মিত্র জানিয়েছেন “এই জয় প্রত্যাশিত ছিল। জানতাম ফলাফল এইরকমই হওয়ার ছিল।” মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি সচিন পায়লট বলেছেন জনসাধারন নিজের ইচ্ছার প্রকাশ ঘটিয়েছেন। সবাই তাদের নিজের পছন্দমত সংসদ নির্বাচন করতে পেরেছেন এটা ভাল দিক। এদিকে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সভাপতি সচিন পায়লট-কে মুখ্যমন্ত্রী করারও আবেদন উঠতে শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন জায়গাতে। ছত্তিশগড়ে সমস্ত নতুন নির্বাচিতদের নিয়ে বসতে চলেছে জয়পুর এবং রায়পুরে।

চন্দ্রবাবু নায়ডু বলেছেন যে “জনগণ জেনেছে বিজেপি গত পাঁচ বছরে কিছুই করেনি, তাদের এখন সরিয়ে ফেলার সময় হয়েছে। 

কংগ্রেস শিবিরের চারিদিকে চলছে উৎসবের হাওয়া। 
তাকে ভোট দেওয়ার জন্য জনগণকে মন থেকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

এই পাঁচ রাজ্যে বিজেপির পতনের কারণ গুলি হল, জনগণ আজ ভালভাবে বুঝতে পেরেছে , এই সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় আসলে, রাজ্য তথা পুরো ভারতবর্ষ দেশটা এক নরকে পরিণত হবে । বিজেপির সন্ত্রাস , দাঙ্গা, হত্যা চালাবে পুরো দেশে। বিজেপির মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে আজ ভারতের মানুষ অসন্তোষ। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতার আসার জন্য তারা অনেক মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কিন্তু বাস্তবে একটাও পরিণত করতে পারেনি, উপরন্ত বেড়েছে গোহত্যার নামে সাধারণ মানুষকে হত্যা ও নির্যাতন, নারী, শিশু ধর্ষণ। কালো টাকা বিদেশ আনার পরিবর্তে দেশ থেকে আরও টাকা লুট করে বিদেশে পালিয়ে যাচ্ছে ও বাড়ছে বিজেপি নেতাদের অয়াকাউন্টে টাকার পরিমাণ। পাচ্ছে না কৃষকরা তাদের ফসলের ন্যায্য দাম, তারা লাঞ্ছিত হচ্ছে। এবার আসছে কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে সরিয়ে দেওয়ার পালা ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন। সাধারণ জনগণকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

০১তাকে ভোট দেওয়ার জন্য জনগণকে মন থেকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

update time 4.10 pm

Back To Top