হিপোক্রিট মানসিকতা নাকি ইসলামোফোবিয়া

ঘটনার সূত্রপাত সৌদি আরবের একজন ১৮ বছর বয়সের তরুনি রাহাফ মোহাম্মদ আল কুনান নিয়ে। যে তার পরিবারের সাথে বেড়াতে কুয়েত পৌঁছায়। সেখান থেকে সোজা থাইল্যাণ্ড। এবং থাইল্যাণ্ডের বিমান বন্দরের হোটেলে নিজেকে বন্দী করে ঘোষণা দেয় যে সে তার নিজের দেশ ফিরে যেতে চাইনা। সে ভয় করছে তাকে তার পরিবার হত্যা করে ফেলবে। কারণ সে ইসলাম ত্যাগ করেছে। এবং সৌদি আরবে ইসলাম ত্যাগের শাস্তি হল মৃত্যুদন্ড।

এই ঘোষণা ছড়িয়ে পড়তেই থাইল্যাণ্ড ঘোষণা দেয় তারা রাহাফ মোহাম্মদ আল কুনান কে রক্ষা করবে। জাতি সংঘের মানবাধিকার কমিশন একদম বিদ্যুৎ গতিতে রাস্তায় নামে তাকে কুয়েতে ডিপোরট না করার জন্য। অস্ট্রেলিয়ান সরকার ঘোষণা দেয় তারা রাহাফ আল কুনানকে অস্ট্রেলিয়ায় রাখতে ইচ্ছুক। আজকের খবর কানাডা তাকে শরণার্থী হিসেবে কানাডাতে জায়গা দিয়েছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, মানবাধিকার এক একজনের বেলায় কেন একেকরকম। যেখানে কিছুদিন আগে এক সিরিয়ান নাম হাসান আল কোন্তার, দুবাইয়ে কর্মরত ছিল। সেখান কাজের ভিসা শেষ হয়ে যাওয়ায়, সেখান থেকে হাসান আল কোন্তার কে দুবাই সরকার তাকে সিরিয়া পাঠাতে উদ্যত হলে সে মালয়েশিয়াতে চলে আসে এবং সেখানে নিজেকে এয়ারপোর্টের মধ্যে বন্দি করে রাখে। কারণ তাঁর উপরেও সিরিয়ান সরকার ক্ষেপে ছিল সরকারের হয়ে অস্ত্র না তুলে নেওয়ায়। এবং দেশে ফিরলেই তাকে বিচারের সামনে দাড়াতে হত। ফলে সে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর বিমান বন্দরে দীর্ঘ ৭ মাস নিজেকে বন্দী রাখে। না ছিল কোন থাকার জায়গা, না ছিল কোন কাপড় না খাবার। বিমান বন্দর কর্মীদের দেওয়া খাবার খেয়ে, কাপড় পরে কাটিয়েছে সে। তখন দেখা যায়নি জাতি সংঘকে, দেখা যায়নি অস্ট্রেলিয়াকে, দেখা যায়নি মালয়েশিয়াকে বলতে যে আমরা তাকে রক্ষা করব। সে অবশ্য বর্তমানে কানাডায়। কিন্তু হাসান আল কোন্তার বেলায় কোন ছাড় দেয়নি কানাডা সরকার। অথচ ইসলাম ত্যাগী রাহাফের বেলায় কেন ছাড়! প্রশ্নটা থেকেই যায়। মানবিকতার প্রশ্ন কি শুধু ইসলামী বিরোধীদের বেলায়!

পশ্চিমা বিশ্বের সমস্যাটা কি ইসলাম না মানবিকতা, তারা কি প্রগতিশীল নাকি জাতির সংকীর্ণতাতে  বিশ্বাসী!

দিনকাল ডট ইন, সম্পাদক নিজাম পারভেজ শুভো

Back To Top