সম্প্রতি পাক- ভারত যুদ্ধ

~আলবিরুণী~

পুলওয়ামায় সিআরপিএফের কনভয়ের উপর আত্মঘাতী জঙ্গি আক্রমণ (১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯) কিংবা ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৫ কর্পস হেডকোয়ার্টারে আত্মঘাতী বোমা হামলা(১৯ শে এপ্রিল, ২০০০)- অক্ষরধামের জঙ্গি আক্রমণ (সেপ্টেম্বর, ২০০২) কিংবা জম্মু কাশ্মীরে বিস্ফোরণ (২০০১) – জম্মু ও কাশ্মীরের অসংখ্য নারকীয় জঙ্গি নাশকতামূলক কার্যকলাপের পিছনে আছে এক পাকিস্তানী জঙ্গি সংগঠন, তার নাম জইশ-ই-মুহম্মদ। পাকিস্তানের সঙ্গে সাম্প্রতিক কিছু কথোপকথনের পর ভারতের কাছে একটিই মাত্র রাস্তা খোলা ছিল- এই জঙ্গি সংগঠনটিকে সমূলে উপড়ে ফেলা। বড়ই আশ্চর্যের বিষয় হল,এরা নিজেদের বলে ‘মুহাম্মদের সেনাদল’, অথচ মহান নবী তাঁর সারা জীবনে কখনও সন্ত্রাসবাদ কিংবা আত্মঘাতী এই ধরনের জঘন্য কার্যকলাপ সমর্থন করেননি, আর কুরআনেও তার প্রমাণ মেলে। সাম্প্রতিকতম জঙ্গি আঘাতে ৪০টি তরতাজা জওয়ানের প্রাণ চলে গেছে- সারা দেশে এই নিয়ে প্রবল অসন্তোষ ও ধিক্কারের বন্যা বয়ে গেছে। সাধারণ মানুষের ক্ষোভ অসন্তোষের পারদ চড়তে থাকলেই সরকারের দায়িত্বও অনেকখানি বেড়ে যায়, কারণ দেশের জনগনের নিরাপত্তার দায়িত্ব একটি সরকারের। পাকিস্তানী সমস্ত জঙ্গি সংগঠনগুলিকে উপযুক্ত জবাব দেওয়াটাও সেই জন্যই এই সময়ের দাবী, সমগ্র দেশের দাবী।

মূলতঃ তিনটি ধারায় ভারত সরকার পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলিকে চিরকালের মত নিকেশ করে ফেলতে চায়। কূটনৈতিক ভাবে আন্তর্জাতিক স্তরে পাকিস্তানকে ধীরে ধীরে একঘরে করে দিতে হবে। ‘বিশেষ বন্ধু দেশ’ এর তকমা কেড়ে নিয়ে পাকিস্তানকে দেওয়া সমস্ত অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা আর সিন্ধু নদের জলবন্টনের চুক্তি মেনে অতিরিক্ত জল দেওয়া বন্ধ করে দিয়ে, এবং অবশ্যই, পাকিস্তানের মদতে বেড়ে ওঠা জঙ্গি ঘাঁটিগুলি ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ এর মাধ্যমে একের পর এক ধ্বংস করে দিতে হবে। কাশ্মীরে শান্তি ফিরিয়ে আনার সুদীর্ঘ প্রচেষ্টাতেও এই শেষ পথটি বিশেষ সহায়ক হবে। ২৬শে ফেব্রুয়ারি, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে, ভারতের বায়ুসেনার আক্রমণ ও জইশ-ই-মুহম্মদের ঘাঁটি উড়িয়ে দেওয়া ছিল সেই পথেরই প্রথম সোপান।

Back To Top