মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ কিন্তু আর অবহেলার নয়

এবছর পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের অধিনস্থ হাই মাদ্রাসা, ফাজিল ও আলিম পরীক্ষায় মুর্শিদাবাদ জেলা অনেকটায় স্থান দখল করে নিয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের অধিনস্থ হাই মাদ্রাসা আলিম, ফাজিল পরীক্ষায় কৃতি ছাত্রছাত্রীদের বেশির ভাগই ডাক্তার – ইঞ্জিনিয়ার- গবেষক ও অধ্যাপকও হতে চান। তাহলে দেখা যাচ্ছে মাদ্রাসা শিক্ষাকে কিন্তু হেলা ফেলা করা যাবে না। আমাদের মনে রাখতে হবে, ১৭- ১৮ বছর আগে হাই মাদ্রাসা পাশ করে মালদার হরিশ্চদ্রপুর থানার কুমেদপুরের মাদ্রাসা ছাত্রী শবনম বেগম ও মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার ভাবতা আজিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র রাহিউল ইসলাম ডাক্তার হয়েছেন।

সেই সময় এরা প্রমাণ করেছিল মাদ্রাসা শিক্ষা মানে মৌলবাদের স্বর্গধাম নয়। কোরআন – হাদিস- ইসলামিক ফিকা পড়ালেও যদি তা মৌলবাদী শিক্ষা হয় তাহলে খ্রিষ্টান মিশনারী ও কিন্টার গার্ডেনে সকালে বাইবেল পড়ানর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের কাজ শুরু হয়। অন্যদিকে রামকৃষ্ণ মিশনেও বেদের বানী পাঠ দিয়ে প্রার্থনা সঙ্গীত করা হয়। তাহলে এই গুলো কি মৌলবাদী শিক্ষা ? কিদোয়াই কমিশনের সুপারিশ মোতাবেক মাদ্রাসা শিক্ষার মূল কাঠামো ঠিক যে উৎকর্ষতা সাধন করা হয় তা আজ কাজে লাগছে। মালদায় গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। মুর্শিদাবাদে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস আজ অবরুদ্ধ। অন্য দিকে মুর্শিদাবাদে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কবে হবে।

Back To Top