ব্রিগেডে লাখ লাখ লোকের সমাবেশে ঐক্যবদ্ধ বিজেপি বিরোধী শক্তি

প্রতিবার নির্বাচনের আগেই নিজেদের ক্ষমতা দেখাতে মাঠে নামে সমস্ত রাজনৈতিক দল। ২০১৪ সাধারণ নির্বাচনের আগেও কলকাতার এই বিশালাকার ব্রিগেড ময়দান ভর্তি করেছিল বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস। এবার মমতা বন্দোপাধ্যায় উদ্বোধন করলেন ব্রিগেড ময়দানের।

আজকের এই সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১২টা থেকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভা প্রাঙ্গণে পৌছে যান ১০টার দিকেই। তৃণমূল ছাড়াও আজকের এই সভায় যোগ দিন ২২টি অন্যান্য রাজনৈতিক দল।

দুদিন আগে থেকেই লোকের সমাবেশ ঘটতে থাকে কলকাতায়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন জমা হতে থাকেন কলকাতায়। কম পড়তে শুরু করে পাবলিক যানবাহনের।

ইউনাইটেড ইন্ডিয়া ট্যাগ লাইনে ডাকা ব্রিগেড ময়দানে হাজির হয়েছেন সারা ভারত থেকে একগুচ্ছ নেতারা। এসেছেন আঞ্চলিক দলগুলির নেতৃবৃন্দ।

আজকের এই সভায় যোগ দিয়েছেন আম আদমি পার্টি চিফ অরবিন্দ কেজরিওয়াল, তিনি বলেন “যদি মোদি ২০১৯-য়ে আবার ক্ষমতায় ফিরে আসে তাহলে দেশকে ধবংস করে ফেলবে”।

যোগ দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা, তিনি বলেছেন “মোদি কেন রাফালে নিয়ে চুপ! মুখ না খুললে লোকে তো বলবেই চৌকিদারই চোর”।

যোগ দিয়েছেন বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহা, যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী অরুণ শোরি।

আছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইহ ডি কুমারস্বামী। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “ভারত বিশ্বের সব থেকে বড় গণতন্ত্র, কিন্তু দুঃখজনকভাবে ভারতের গণতন্ত্র একজন অগণতান্ত্রিক নেতার দখলে রয়েছে”।

তামিলনাড়ুর ডিএমকে দলের নেতা এম কে স্ট্যালিন বলেন “এই লোকসভা নির্বাচন হবে ভারতের দ্বিতীয় স্বাধীনতার লড়াই”।

কংগ্রেস এর মুখপাত্র অভিষেক মনুসিংঘী বলেন “ আজকের এই সভায় ২২ টি দলের রংধনু দেখতে পাচ্ছি যেটা কালো মেঘকে সরিয়ে দিচ্ছে”।

অন্ধপ্রদেশের মুখমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু তার ভাষণে বলেন “আমাদের একটাই লক্ষ্য, ভারতকে রক্ষা, গণতন্ত্র রক্ষা। বিজেপি ভারতকে ভাগ করেছে, আমরা ভারতকে আবার ঐক্যবদ্ধ করব”।

কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লা তার ভাষণে বলেন “ ভারতে এখন অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে। তারা কাশ্মিরিদের হত্যা করছে, তাদেরকে বলছে পাকিস্তানী। স্বাধীনতার ৭০ বছর পরে ভারত আবার হুমকির সম্মুখীন। আমাদের কে বিজেপির সাথে লড়াই করতেই হবে”।

আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বলেন, “ প্রধানমন্ত্রী একজন মিথ্যাবাদীর কারখানা। সে মিথ্যা তৈরি করে, সেই মিথ্যাকে হোলসেলে বিক্রি করে সেইসাথে রিটেলেও বিক্রি করে। এইরকম লোকদের কাছে থেকে আমাদের সাবধান থাকা উচিত”।

আজকের এই সভার আহ্বায়ক এবং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার ভাষণে বলেন, “বিজেপি সরকার ইতিমধ্যেই এক্সপায়ার হয়ে গেছে। এক রাষ্ট্রপতি ও এক মন্ত্রী নিয়ে তোমরা আজকে নেতাহীন হয়ে পড়েছ, আমাদের অনেক নেতা রয়েছে।

Back To Top