বিশ্ববিখ্যাত সঙ্গীত সুরকার ও শিল্পী এ আর রহমান দুদিন আগে স্লামডগ মিলিনেওয়ার সিনেমার ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠানে নিজের পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগ দিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তার মেয়ে খাদিজা। বোরখা পরিহিত অবস্থায়।
এই ছবি অনলাইনে আসার পরেই শুরু হয় আক্রমণ এই সুরকারের উপরে। এ আর রহমান নাকি তার মেয়েকে জোর করেছেন বোরখা পরতে, টুইটার, ফেসবুক সবজায়গাতেই এই সঙ্গীতশিল্পীকে তুলোধোনা করতে থাকেন নিন্দুকেরা।
মিডিয়াতে চর্চা হতে থাকে এই বিষয় নিয়ে। একের পর এক আক্রমণ আসতেই থাকে। শেষে মুখ খুলতে হয় এ আর রহমানকে এবং তার মেয়েও মুখ খোলে।
বাবা যেখানে রিপ্লাই দিয়েছেন যে ষে কোনদিনই তার মেয়েদের উপরে জোর করে কিছু চাপিয়ে দেননি। তার মেয়ে খাদিজা যে পোশাক পড়েছে সেটা তার নিজস্ব ব্যক্তি স্বাধীনতা, এবং কারো ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।
তার মেয়েও ইন্সটাগ্রামে একই কথা জানিয়েছেন।
কিন্তু আসলে সমস্যাটা কোথায়!
যদি কোন নান পুরো দেহ আবৃত পোশাক পরে তাকে নিয়ে কোন প্রশ্ন হয়না, যদি মাদার টেরেসা সারাজীবন পুরো দেহ আবৃত করে এমন পোশাক পরেছেন, কেউ তো কোনদিন আপত্তি তোলেনি। তাহলে কেন শুধু কেউ কালো বোরখা পরলেই তার উপরে হামলে পড়তে হবে।
সবার নিজের পছন্দ মত কাপড় পরার অধিকার রয়েছে, এবং সেটা নিয়ে মন্তব্য করা সমীচীন নয়। কারণ, যে বিকিনি পরছে সেটা যেমন তার অধিকার, ঠিক তেমনিই বোরখা পরাটাও তার ব্যক্তি স্বাধীনতার মধ্যে পড়ে।
ইসলামোফোবিয়াতে না গিয়ে মানুষ হিসাবে বিচার করতে শিখলে এসব নিয়ে সমস্যা হওয়ার কথা নয়, কিন্তু যেহেতু ইসলাম চলে আসছে তাই যেকোন উপায়ে অপমান করতেই হবে, সে যদি স্বইচ্ছাতেও বোরখা পরে তাহলেও বলতেই হবে যে এটা তার ব্যক্তি স্বাধীনতায় আক্রমণ করছে।
হিন্দু হোক বা মুসলমান, মানুষ মানেই তার নিজের অধিকার রয়েছে নিজের মত খাওয়ার, পরার। তাই সংকীর্ণ মানসিকতা সরিয়ে চলুন মানুষ হওয়ার চেষ্টা করি।