বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ও জামিয়া ইসলামিয়ার প্রাক্তন উপাচার্য মুশিরুল হাসানের জীবনাবসান

ইতিহাসবিদ মশিরুল হাসান

২০১৪ সালের এক পথ দুর্ঘটনায় মারাত্মক ভাবে জখম হন তিনি তার পর বেশ কিছুদিন অসুস্থ ছিলেন। অবস্থার কিছু উন্নতি হলে তাঁকে দিল্লীর  এক বেসুরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল সেখানেই সোমবার ভোর রাত্রি ৪টার সময় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন । মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি ১৯৪৯ সালের ১৫ই আগস্ট ছত্রিশগড়ের বিলাসপুরে জন্মগ্রহন করেন। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্তর উপাধি লাভ করেন ১৯৭৭ সালে। এর পরে ১৯৯২ সালে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ায় অধ্যাপক হিসাবে যোগদেন, পরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে নিযুক্ত হন ২০০৪ সালে এবং ২০০৯ সাল পর্যন্ত ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই উপাচার্য পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

মশিরুল হাসান

২০০২ সালে তিনি ইন্ডিয়ান হিস্ট্রি কংগ্রেসের ডিরেক্টর নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি ইরান-ভারত সোসাইটির  দুতাবাসের  প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত হন। ৭১ বছর জীবনে তিনি অনেক গুলি সম্মাননা পেয়েছিলেন। ২০০২ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ফোর্ড ফাউন্ডেশন ফেলোশিপ প্রদান করে। ২০০৭ সালে তাকে ভারত সরকার পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করে এছাড়াও তাঁকে জওহরলাল নেহরু ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। এছাড়াও তিনি অনেক গুলি গ্রন্থ রচনা করেন যার অন্যতম হল ‘ইসলাম ইন দ্য সাবকনটিনেন্ট মুসলিম ইন এ পুলুরাল সোসাইটি, ‘দ্য পারসোনাল হিস্টরিস, ইত্যাদি।  ‘ইন্ডিয়া পারটিশান দ্য অদার ফেস অফ ফ্রিডম’ – দেশ ভাগের ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষের অবস্থা ও সে সময়কার রাজনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে। সর্বশেষে একথা স্বীকার করতে হবে যে, ভারতবাসী এক মহান ব্যক্তিত্বকে হারালো।

Back To Top