বিদ্বেষ তৈরীর কারখানা

~উমর ফারুক

NEWSHUB-christchurch-flowers-tribute-1120

সারা বিশ্ব মুসলিম বিদ্বেষী বলে তোপ, ঘৃণা, কটাক্ষ ছুড়ে দিচ্ছে গভীর রাতে। আজ মানুষ মরে, কাল পশু এরপর জীব প্রজাতির মত নানান প্রকাশ নির্লসে জীবনের শেষ অবকাশটুকুও লুপ্ত হয়ে যায়। মানুষের মায়া, মমতা মানবিকতা যখন উচ্ছাস এর আবেগের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা থেকে পরিগণিত হয়। মারতেও দ্বিধা বোধ করে না! সবাই চাই বিশ্ব শান্তিতে মনোনিবেশ করতে। একটু আশা, ভালোবাসা নিয়ে বেঁচে থাকতে। তবে সারা বছর ধরে যারা আমোদের সাগরে ডুব দিয়ে যায়, সারা শরীরও তটস্থ থাকে। নিথর শরীরটা আরো নতুন ভাবে গড়ার স্বপ্ন দেখে। তাদেরকে কি বলবেন? যে যায় বলুক আমার অন্তর থেকে তাদের চরম উদাস মনে হয় নি।

এমন মানুষ অসংলগ্ন সকল সৎ কাজ কে ছুঁড়ে দেই নর্দমায়। আর প্রেম, ভ্রাতৃত্ব সে অন্য কথা। এটা না হয় বাদই ধরলাম। তাদের আগে সনাক্তের বন্দোবস্ত করার প্রয়োজন। যারা নিরপরাধ মানুষকে খুন করে ভীন দেশ থেকে এসে, শেতাঙ্গ এমন কুলাংগার আরও আছে প্রতিটি দেশে অথবা দেশের বাইরে। সবাই খুন করে ভীন দেশে আবার আশ্রয় নিতে পারে না। ক্রাইস্ট চার্চ একটি শান্তি পূর্নদেশের অধীনে। যেখানে আজও পর্যন্ত এমন দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গেছে বলে মনে হয় না। আমি খুব কান আওড়াই যখন যেখানে যা খবর আসবে আমার কর্নে ভাসিয়ে রাখি। এমন ঘটনার সাথে আমার পরিচয় বেশ কিছুদিন আগে থেকেই। গত শুক্রবারের সেই মর্মান্তিক ঘটনার খুনের হিসেব করে আমি অন্ধ হয়ে যাচ্ছি। কেমন যেন মূমুর্শু, নিপীড়িতের কাঁপুনির ছাপ আমার ঘাড়ে এসে পড়ছে। এটা মুসলিম বিদ্বেষী ছাড়া আর কিছু নয়! না হলে প্রচলিত খবরের শিরোনামেও কেন জঙ্গি নাম টা নেই!? যদিও এমন কম্ম একদল বন্দুকবাজের হাতে করা খুব দুঃসাধ্যের ব্যাপার। তারাও মানুষ, অন্তত একবার হাত কাঁপবে। বেন্টন টারান্ট নামক এক শেতাঙ্গ অস্ট্রেলিয়ান যুবক শুরু থেকেই এদের তাক্ করেছিলো। তার লক্ষ্য ছিল মুসলিম ও কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি।

এত বড় জোরালো প্রমাণ থাকা সত্বেও মিডিয়া সেটাকে বন্দুকবাজ বলে কেন? এটা তো চরম উগ্রপন্থী ক্রোধান্বিত এক মানুষের কাজ। এটা জঙ্গি কুলাংগারের কাজ। এই হল দেশ, কাল, ধর্ম আর মানুষের পরিচয়। রাষ্ট্রে সমাজ, শাসন সবকিছুই এখানে মূখ্য, তা সবাই সমর্থন করে। সবাই মুখ বুজে থাকে। শুধু আওয়াজ টুকু বের হয়না। হয়তো তাদের ও চোখে মুখে বিদ্বেষপূর্ণ ছাপের স্বরচিহ্ন ধরা পরে। আজ বিশ্বের শান্তির বাসায় আগুনের গোলায় ডুবিয়ে ছাঁকা তেলে ভাজা হচ্ছে মানুষের বিবেকে। সবকিছুর জটলা বাধানো হীন সাম্প্রদায়িক শক্তি দিয়ে আপ্রান চেষ্টা করছে কিভাবে বিদ্বেষ ছড়ানো যায়? তুলনা করা হয় ছায়ের সাথে আমার, ছায়ের সাথে তার, ছায়ের সারা মানুষের সারা দেশবাসীর। ছড়াছড়ি শুরু হয় হিংসের। প্লাবন বয়ে যায়  দূর বাঁধে ভেঙে, থেমে রাখা যায়না। যার চরম পর্যায়ে এসে শুরু করে হত্যা, খুন, আর কু-কর্ম। আগুন নিভিয়ে গেলেও তার ভস্মের গাদায় এক খন্ড ফুনকি আছে। মানুষ তা আবার জ্বালানোর চেষ্টা করে। তা দিয়ে যদি বিদ্বেষ তৈরী হয়। যতদিন না এই বিশ্ব মানুষের বিদ্বেষ কমবে ততদিন এখানে শান্তি বিরাজ করবেনা।

ভালোবাসা, মমতায় মায়ের আঁচল কে কেমন দেখি!

সেটা লুকানো জায়গা হিসেবে তা যথেষ্ট নিরাপদ। আমার দেশের মাটি হল মা। এখানে বিধ্বংসী পরমাণু তে যদি খন্ড হয়ে যায় তবু আমরা বিদ্বেষী, উস্কানির খপ্পরে পড়ে যাবো না। নিশ্চয় আমি নিরাপত্তার সাথে জীবন যাপন করছি। এখানে মায়ের মমতায় মায়ের আঁচল কে শান্তির আলয় বানিয়ে রেখেছি। এমন কয়জন ভাবে? আপন মাকেই ভালো বাসতে শিখলমনা সে আবার কি করে মানুষকে ভালোবাসা দিতে পারবে? মা তো সর্বদা আমাকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্যই ওঁত পেতে বসে আছে। তাহলে কোথায় জঙ্গি, কোথায় খুনি সব একই রকম হয়ে যাবে। এমন ঘটনার আঁধার শুধু নিউজিল্যান্ডে নয়! সারা বিশ্ব ব্যাপী এক প্রভাব ফেলে রেখেছে। আমার দেহে স্পর্শ লাগে তার শোকের হাওয়াতে। আমার গা মড়মড়ে হয়ে যায়, আমি ক্রমশ ভাগ্যলিপি থেকে অনেক দূরে সরে থাকলেও আমার উপর এমন জুলুম আগে থেকেই জানা ছিল। সে সময়সাপেক্ষ নিজ সময় নিয়ে কৌটা পুজিছে। আফগানিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠীর হামলায় আমার মনে প্রথম পর্বের জিজ্ঞাসা শুরু হয়েছিল। তারা কিভাবে এটা করতে পারে? মাথায় একটা কথা এখনও ঘুরপাক খাচ্ছে, ‘মানুষের চিন্তা, চেতনা, বিবেচনা করার শক্তি কি হারিয়ে গেছে?’ চারিদিকে কোন দিন না কোন একটা হামলা হতেই থাকছে। এমন চেতনার কি মূল্য?

যে চিন্তায় মানুষের মোড় ঘুরে মানুষ বিদ্বেষীর দিকে,

মানুষ কাটার ঝোঁক এর দিকে। এমন ঘটনা শোনা যায় শহরের বাবুদের পাড়া থেকে যারা অনেক শিক্ষিত, তারা অনেক সময় ধরে অধ্যায়ণ করে। তারা বইয়ের সাথেই বসবাস করে। অথচ মানুষের জীবন নিয়ে কত হত্যা খেলা খেলে। এদের আত্মার প্রশান্তি যদিও নাই। প্রশান্তিহীন মনের তাগিতে তাদের চালচলন সব কিছুই মানুষের জন্য শ্রেষ্ঠ ক্ষোভ, ক্রোধ, ঘৃণা, হিংসে সবমিলে মানুষ মারার চক্রান্তে জড়িয়ে পড়ে। ক্রাইস্ট চার্চে এমনকি জেরুজালেমেও এমনটাই ঘটেছিলো। মানুষের ক্ষোভের সৎ ভাই ক্রমান্বয়ে নীরিহদের প্রতি ঢেলে দেয়। তার কারণ পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে মমতা, ভ্রাতৃত্ব, স্নেহ ও ভালোবাসা কে তারা পূর্বেই বিসর্জন দিয়েছে। সেখান থেকেই তৈরী হয় বিদ্বেষীপূর্ণ মনোভাব।

Back To Top