বাংলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মাহমুদ

~উমর ফারুক

কবি আল মাহমুদ

আল মাহমুদ ছিল দুই বাংলার প্রখ্যাত কবি, সাহিত্যিক, উপন্যাসিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৩৬ সালে ১১ই জুলাই বাংলাদেশের ব্রাহ্মণ বাড়িয়ার মোড়াইল নামক গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।

তাঁর আসল নাম মীর আব্দুস শুকুর আল মাহমুদ। তবে তিনি আল মাহমুদ নামেই পরিচিত। আমার চোখে আল মাহমুদ শুধুমাত্র কবি সাহিত্যিক হিসাবে নয়, তার বহুমুখী প্রতিভা বাংলার মানুষের হৃদয়ে আঁকা এক নতুন দিগন্ত স্বরুপ। তিনি বাংলা দেশের “দৈনিক গণকন্ঠ” পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। অখন্ডনীয় জাতীয়তাবাদী উন্মেষের যে সকল ব্যক্তিত্বগন স্মরণীয় হয়ে আছেন তাদের মধ্যে আল মাহমুদ হলেন সেই ব্যক্তি যার সাহিত্য সংস্কৃতি তে প্রতিটি জনগণের হৃদয়ে মুক্তির জন্য আকুলতার সৃষ্টি হয়েছে। পশ্চিম পাকিস্তানের বিপক্ষে সারা বাংলার বিপ্লবী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উদ্বুদ্ধ করার নতুন অধ্যয়ের সূচনা করেন।


যখন বাংলা ভাষা কে নিয়ে পাক সরকার ছিনিমিনি খেলেছিল, যা সাধারণ মানুষ ও শ্রমিকশ্রেণীর ক্ষেত্রে কোনো দিনও বুঝে ওঠা সম্ভব হতো না। পাক সরকার আপন ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য গণভোটে পরাজিত হয়েও রায় নিজের পক্ষের নিয়েছিল। বাংলা ভাষাকে তাচ্ছিল্য করে উর্দুকে প্রাধান্য দেওয়ায় বাংলার মানুষের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।বাংলার মানুষের উপর শুরু হয় অত্যাচার, নিপিড়নের রোলিং মেশিন চালাতে শুরু করে।বাংলায় বুকে আঁধার নেমে আসে, কালোর অন্ধকারের উতস হাওয়ায় দূর্গন্ধ ভেসে আসে পশ্চিম পাকের নোংরা স্বায়ত্তশাসন। তা তারা কখনও মেনে নিতে পারেনি। শহিদ হয় হাজারো সংগ্রামী। এমন পরিস্থিতিতে আল মাহমুদ ১৯৭১ সালে সমগ্র বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধার কাতারে দাঁড়ান। পাকের গোলামদের শাস্তির দাবীতে সোচ্চার হয়। প্রেসিডেন্ট মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শুরু হয় স্বাধীনতা আন্দলন। লাখো জনতার গণজোয়ারের প্লাবিত হয়ে ওঠে সারা বাংলার মাটি। দেশপ্রেমিক, জাতীয়তাবাদী বিপ্লবী সৈনিক দের মধ্যে আল মাহমুদ ছিল অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৈনিক।

ততকালীন পাক সরকারের বিরুদ্ধে লেখার জন্যে কারাবরন করতে হয় কবিকে। কবির সাহিত্য ধারাবাহিক ভাবে আপ্লুত হয়! তিনি যা লেখেন তা জাতিয়তাবাদী উন্মেষের জোয়ার এনে দেই। তাঁর লেখনী দুই বাংলার সমাজে শিল্প ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করে, যা মুক্তির পথে পা বাড়াতে সাহায্য করে। তার অসাধারণ পান্ডিত্য ও প্রতিভার জন্য অনেক পুরস্কার পান। ১৯৭৫ সালে শিল্পকলা একাডেমির গবেষণার ও সহ পরিচালক পদে নিযুক্ত হন। ১৯৯৫ সালে অবসর নেন। বাংলার এই মহান মুক্তিযোদ্ধা ও কবি গত বৃহঃপতিবার দেগত্যাগ করেন।

Back To Top