ঢালাই রাস্তা তৈরিকে কেন্দ্র করে গুলি ও বোমা বর্ষনে প্রাণ গেল এক জনের

দিনকাল ডেস্কঃ সানওয়ার খান, মথুরাপুর : বুধবার সকালে মথুরাপুর থানার কালিকাপুর গ্রামে একটি ঢালাই রাস্তাকে কেন্দ্র করে বোমা, গুলিতে নিহত তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক সারোয়ার উদ্দীন মোল্লা (৪২)। নিহত সারোয়ারকে মথুরাপুর হাসপাতাল থেকে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়, জেলা হাসপাতাল থেকে কলকাতা নিয়ে যাবার পথে মৃত্যু হয় তার। এদিকে বিধায়ক জয়দেব হালদার ঐ খুনের ঘটনায় সিপিম নেতা রইছ উদ্দিন মোল্লা দায়ী বলে অভিযোগ করেন। স্থানীয় সূত্রের খবর, মথুরাপুর থানার কালিকাপুর গ্রামে সুন্দরবন উন্নয়ন দপ্তর থেকে হালদারপাড়া থেকে দক্ষিণ পাড়া অব্দি ঢালাই রাস্তার কাজ শুরু হয়। মঙ্গলবার সিপিএম সমর্থক ঐ রাস্তা অন্য দিকে নিয়ে যাবার চেষ্টা করেন। তখনি বাধা দেন কাজের দাইত্বে থাকা জহির মোল্লা, সঙ্গে দাদা সারোয়ার মোল্লা। যথারীতি কাজ বন্ধ রেখে একটি আলোচনা সভার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মৃতের পরিবার সূত্রে বুধবার সকালে সরোয়ার বসিরে থেকে বাড়িতে ঢোকার আগে সিপিম নেতা রইছ উদ্দিন মোল্লার ভাইয়ের বাড়ি থেকে বোমা গুলি ছোড়ে। বোমা-গুলিতে জখম হন তৃণমূল সমর্থক সারোয়ার মোল্লা। তৎক্ষণাৎ মথুরাপুর হাসপাতাল এ সারোয়ার  মোল্লাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে পাঠায়। ওখান থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার পথে দুপুরেই মারা যান তৃণমূল সমর্থক সারোয়ার উদ্দিন মোল্লা।

 এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কালিকাপুর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে বিধায়ক এই খুনের ঘটনার জন্য সিপিএম নেতার  রইচ উদ্দিন মোল্লার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন এবং পুলিশকে বলেছেন যত দ্রুত সম্ভব আসামিকে গ্রেপ্তার করতে হবে নতুবা আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাব।

 এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে মথুরাপুর থানার পুলিশ সহ মন্দিরবাজার থানার পুলিশ বিশাল বাহিনী নিয়ে এলাকা ঘিরে রেখেছে। এলাকায় চলছে পুলিশি টহলদারি। সূত্রের খবর তৃণমূল সমর্থক সারওয়ার মোল্লার মৃতদেহ ডায়মন্ড আর মর্গে ময়না তদন্তে নিয়ে আসা  আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর তার বাড়িতে নিয়ে আসা হবে। এদিকে সিপিএম নেতা রইছ উদ্দিন মোল্লা সাংবাদিকদের জানান এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব দায়ী। তিনি এই ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন। জেলা পুলিশের পদস্থ এক কর্তা জানান, মথুরাপুরে খুনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোন ভাবেই গ্রামের ভিতরে কোনো বহিরাগতদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। গোটা এলাকা জুড়ে চলছে চিরুনি তল্লাশি।

Back To Top