ক্রিকেটের ইতিহাসে একদিবসিয় ম্যাচে পাকিস্থানের বিরুদ্ধে সবথেকে বড় জয় ভারতের

দিনকাল ডেস্কঃ ক্রিকেটের ইতিহাসে পাকিস্থানের বিরুদ্ধে একদিবসিয় ম্যাচে সবথেকে বড় ব্যাবধানে জিতল ভারত। এর আগের সবথেকে বড় ব্যাবধান ছিল ১৯ বল এবং ৮ উইকেট ২০০৬ এ। গতকাল এশিয়া কাপের সুপার ফোরের তৃতীয় ম্যাচে সেই মার্জিনটা হয়ে গেল ৬৩ বল এবং ৯ উইকেট। যদিও শেখর ধাওয়ান ভুলক্রমে রান আউট না হয়ে যেত তবে সেই ব্যাবধানটা আরও বড় হতে পারত। শেখর ধাওয়ান শেষের দিকে ১০০ বল খেলে ১১৪ রান বানিয়ে রান আউট হয়ে যায়। ফলে ১০ উইকেটে জেতা আর হলনা। তবে অনেকে মনে করছেন গ্রুপ লিগে ৮ উইকেটে এবং সুপার ফোরে ৯ উইকেটে হারাল পাকিস্থানক,। এবার যদি ফাইনালে আবার দেখা হয় পাকিস্থানের সঙ্গে তাহলেকি ১০ উইকেটে হারাবে? তবে বলা যায়, যে দশা পাকিস্থানের বোলারদের করল রোহিত শর্মা এবং শেখর ধাওয়ান তাতে তাদের কিছু দিনের জন্য তো অশান্ত করে রাখবেই। এদিন রোহিত শর্মা ১১৯ বল খেলে ১১১ রান করে অপারজিত রয়ে গেলেন।

টসে জিতে পাকিস্থান প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। ৫০ ওভার খেলে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৩৭ রান করে পাকিস্থান। যাশপ্রিত বুমরাহ, যজুবেন্দ্র চাহাল, এবং কুলদীপ যাদব দুটি করে উইকেট গ্রহণ করে।  শোয়েব মালিক ৯০ বল খেলে ৭৮ রান করেন, সারফারাজ আহমেদ করেন ৬৬ বলে ৪৪ রান। জবাবে ভারত সেটা ৩৯.৩ ওভারেই কেবলমাত্র ১ উইকেট হারিয়ে তুলে দেয়।

ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন শেখর ধাওয়ান।

এদিন আরও কত রেকর্ড তৈরি করল দুই দলের ক্রিকেটাররা একটু দেখে নিই–

একদিবসিয় ম্যাচে পাকিস্থানের বিরুদ্ধে ওপেনিং জুটিতে এত রান কেও করতে পারেনি যা করল শেখর ধাওয়ান এবং রোহিত শর্মা (২১০ রান)। এর আগে সৌরভ গাঙ্গুলি এবং সচিন তেন্ডুল্কর মিলে করেছিল ১৫৯ রান ২০০৯ সালে। তবে রান তাড়া করার দিক থেকেও এটি একটি বড় পার্টনারশিপ, এর আগে গম্ভীর এবং সেহবাগ করেছিল ২০১ নিউজিল্যান্ড এর বিরুদ্ধে।

 

 

ওপেনিং জুটিতে দুই জনেরই সেঞ্চুরি কেবল মাত্র দুটি জুটির ছিল। সৌরভ গাঙ্গুলি এবং সচিন তেন্ডুল্কর (২১), বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা (১৪)। তৃতীয় স্থান দখল রোহিত শর্মা ও শেখর ধাওয়ান (১৩)।

রোহিত শর্মা ১৮১ ইনিংস খেলে ১৯ তম সেঞ্চুরি করলেন তাতে ক্রিকেটের ইতিহাসে  দ্রুততম ১৯ টি সেঞ্চুরিতে চতুর্থ স্থান দখল করলেন। প্রথম রয়েছে হাসিম আমলা ১৫০ ইনিংস, দ্বিতীয় বিরাট কোহলি ১৬১ ইনিংস, তৃতীয় ডেভিলিয়ারস ১৭৪ ইনিংস।  তিনি এদিন একদিবসিয় ম্যাচে ৭০০০ রান করলেন যার দৌলতে তিনি দ্রুত ৭০০০ রান বানানোর তালিকায় পঞ্চম স্থান দখল করলেন।

মহেন্দ্র সিং ধোনীর পরে দ্বিতীয় রয়লেন রোহিত শর্মা ৩০০ আন্তর্জাতিক ছয় মারার দিক থেকে।

ধাওয়ান ১০৮ তম ইনিংসে তাঁর ১৫ তম একদিবসিয় সেঞ্চুরি করলেন। হাসিম আমলা করেছেন ৮৬ ইনিংসে, বিরাট কোহলি করেছেন ১০৬ ইনিংস খেলে। তৃতীয় শেখর ধাওয়ান।

কেবলমাত্র তিন জন রয়েছে যারা শোয়েব মালিকের থেকে বেশি রান করেছে এশিয়া কাপে। সনৎ যয়সূর্য রয়েছেন শীর্ষে, তারপরে কুমার সাঙ্গাকারা, তারপরে রয়েছে সচিন তেন্ডুল্কর।

যজুবেন্দ্র চাহাল দ্রুততম ৫০ টি একদিবসিয় উইকেট গ্রহণে পঞ্চম স্থানাধিকারী হলেন ৩০ টি ইনিংস খেলে। প্রথমে যারা রয়েছেন যথাক্রমে অজিত আগারকার (২৩), কুলদীপ যাদব (২৪), যাশপ্রিত বুমরাহ (২৮), মহাম্মদ শামী (২৯)।

Back To Top