কাশ্মীরের পুলওয়ামা বিস্ফোরণে মৃত জওয়ানদের আত্মার শান্তি কামনা করি

দিনকাল ডেস্কঃ গত বৃহস্পতিবার  কাশ্মীরে পুলওয়ামা বিস্ফোরনে প্রায় ৪৫ জন সামরিক অকালে প্রাণ হারালো। এই ঘটনার জন্য সমস্ত ভারতবাসী শোকাহত ও বিশ্ববাসী নিন্দা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু কেন এই ঘটনার পরিস্থিতি হয়। এর জন্য দায়ীরা অবশ্যই দেশের শত্রু, জাতির শত্রু, মানবতার শত্রু । এদের কঠিন শাস্ত্রীর প্রয়োজন। যে জওয়ান দেশের মানুষের জন্য ও দেশের সম্পদ রক্ষার জন্য নিজের সমস্ত সুখ বিসর্জন দিয়ে দিনরাত্রি প্রাণের পরোয়া না করে দেশের সেবা করছে। আজ  কেউ হারালো তার সন্তান, কেউ তার পিতা, আবার কেউ হারালো তার স্বামীকে। অত্যন্ত দুঃখের করুন দৃশ্য। যা বর্ণনায় প্রকাশ করা যায় না। কিছু স্বার্থলোভী মানুষ নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এতো গুলো প্রাণের অকালে এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিল। যে পরিবার আজ তার আত্মীয়- পরিজনকে হারালো তাদের মনের অবস্থা কেমন হল একটু ভেবে দেখেন। রাজনৈতিক লড়াইয়ে এই প্রাণ বলিদান মেনে নেওয়া যায় না। কেন এক শ্রেণির মানুষ তলে তলে সুড়সুড়ি দিয়ে দেশে একটা  অসন্তোষের বাতাবরণ তৈরি করছে। ইতি মধ্যে উত্তর প্রদেশ সরকার মৃত জওয়ানদের পরিবারকে এককালীন ২৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছে এবং সেই সঙ্গে পরিবারের একজনকে চাকুরী দেওয়া হবে। কিন্তু যে  পরিবার তার ছেলে বা স্বামীকে হারালো তার মনের অবস্থা ওই টাকায় ভরে উঠবে না তা কোন দিন হতে পারে না।  তার পরিবারের স্তম্ভটায় ভেঙে গেল। এই কর্মকাণ্ডের জন্য যারা বা যে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী  এই ঘটনা করার জন্য মদত দেয় সে অবশ্যই মানুষ হতে পারে না। কাশ্মীর নিয়ে পর্বটা আজ থেকে চলছে না, অনেক দিন থেকে চলে আসছে। দেশ ভাগের পর থেকে চলছে এই রকম ঘটনা। কত প্রাণ আর বিসর্জন দিতে হবে তাহলে শান্ত হবে। প্রতিদিন হারাচ্ছে প্রাণ, শুন্য হচ্ছে মায়ের কোল। এতিম হচ্ছে অনেক কিশোর । এই অবস্থার অবশ্যই অবশান চায়। হিংসার জন্য এতো গুল প্রাণের বিসর্জন কোন মোতেই মেনে নেওয়া যায় না। দোষীদের অবশ্যই চরম শাস্ত্রী দিতে হবে।সর্বশেষে সমস্ত জওয়ানদের প্রতি আত্মার শান্তি কামনা করি ও স্যালুট জানায়। তোমরা আমাদের  গর্বের প্রতীক ও তোমাদের চিরদিন এই বিরক্তের কথা মনে রাখবে। তোমরা দেশের জন্য প্রাণ দিলে। তোমরায় প্রকৃত বীর। দেশের বীর সন্তান।

Back To Top